বুধবার (১১ আগস্ট) থেকে আসন সংখ্যার সমান সংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলবে বাস, ট্রেন এবং লঞ্চসহ সব ধরনের গণপরিবহন। তবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সড়কপথে মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চলাচল করতে পারবে।
রোববার (৮ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ শর্ত দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সড়ক, রেল ও নৌ-পথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন/যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়ক পথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দপ্তর/সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১ জুলাই থেকে বিধিনিষেধ শুরু হয়। পরে তা কয়েক দফায় বাড়িয়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।
প্রথমে ১ জুলাই থেকে জারি করা বিধিনিষেধে রফতানিমুখী শিল্পকারখানা ছাড়া সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে আটদিনের জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। সে সময় সবকিছুই শর্ত সাপেক্ষে খুলে দেয়া হয়।
ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আবারও বিধিনিষেধ জারি হয়। এ দফার বিধিনিষেধ চলাকালে পোশাক কারখানাসহ সব ধরনের শিল্পকারখানা ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। জরুরি সেবা, গণমাধ্যম ও খাদ্য উৎপাদনে সংশ্লিষ্ট পরিবহন ছাড়া সব ধরনের গণপরিবহনও ঘোষণা করা হয়।
পরে তা আরেক দফায় বাড়িয়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়।
তবে শিল্প মালিকদের দাবির মুখে ১ আগস্ট থেকে খুলে দেয়া হয় রফতানিমুখী কারখানাগুলো। এরপর ৬ আগস্ট থেকে ফ্লাইট চালু করা হয় অভ্যন্তরীণ রুটে। এবার বিধিনিষেধ প্রায় পুরোটাই তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত এল।