ব্যাংকগুলোর কাছে ছয়টি দাবি করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রবিবার (৩০ জানুয়ারি) ব্যাংকার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (বিডাব্লিএবি) নামের একটি সংগঠনের মাধ্যমে এই দাবিনামা তারা পাঠিয়েছেন গণমাধ্যমের কাছে।
সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মো. শফিকুর রহমানের সই করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দ্রব্যমূল্য ও মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় সরকারি, বেসরকারি বা ব্যাক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পর্যালোচনা করে পুনঃনির্ধারণ করা হয়। এ সাপেক্ষে ব্যাংকার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশকে (এবিবি) বিষয়গুলো বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছে—
১। ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলার যতদ্রুত সম্ভব বাস্তবায়ন করা।
২। বেতন কাঠামো সহজ করতে ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তাদের পদবী বিন্যাস এভাবে প্রণয়ন করা—শিক্ষানবিশ অফিসার, অফিসার, সিনিয়র অফিসার, প্রিন্সিপাল অফিসার, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, এডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও।
৩। সকল ব্যাংক কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট প্রদান করা।
৪। সব ব্যাংকে একই ধরনের পদোন্নতি নীতিমালা প্রণয়ন ও এ অনুযায়ী অন্তত প্রতি তিন বছর পর পর পদোন্নতি কর্যকর করা।
৫। সন্তোষজনক কাজের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি দুই বছর পর পর অ্যাকসিলারেটেড পদোন্নতি বিবেচনা করা।
৬। প্রত্যেক ব্যাংকের বাৎসরিক মুনাফার ভিত্তিতে ইনসেনটিভ বোনাস প্রদান করা।