ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে তিনদিন ধরে বন্ধ রয়েছে । এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে খুচরা বাজারে।
আমদানিকারকরা বলছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির আগের ইমপোর্ট পারমিটের (আইপি) মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। নতুন করে আইপি না পাওয়ায় কয়েকদিন ধরে আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে সর্বশেষ গত ৩০ এপ্রিল ৬৮টি ট্রাকে ১৯০২ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এরপর ঈদের ছুটি শুরু হয়। ছুটি শেষে শনিবার (৭ মে) থেকে বন্দর দিয়ে আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়। তবে শনিবার থেকে বন্ধ রয়েছে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি।
এদিকে হিলির খুচরা বাজারে ঈদের আগে প্রকারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৫ থেকে ১৬ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ২০ থেকে ২২ টাকায় ঠেকেছে।
আড়তে পেঁয়াজ কিনতে আসা মো. আসলাম বলেন, ‘ঈদের আগে হিলির আড়তে পেঁয়াজের দাম ছিল ১৪ টাকা কেজি। এখন দাম চাচ্ছে ২০ থেকে ২২ টাকা। আমরা অন্য বাজারে ২০ টাকা কেজি খুচরা বিক্রি করেছি। অথচ এখান থেকেই আমাদের ২০-২২ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে।’
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য আমাদের যেসব ইমপোর্ট পারমিট নেওয়া ছিল সেগুলোর মেয়াদ ছিল ৫ মে পর্যন্ত। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১ মে থেকে ৬ মে পর্যন্ত ছয়দিন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। যে কারণে ওই সময়ের মধ্যে বাড়তি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানির ইচ্ছা থাকলেও সেটি সম্ভব হয়নি।’
তিনি বলেন, সরকার নতুন করে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ইমপোর্ট পারমিট দেওয়া বন্ধ রেখেছে, যে কারণে বর্তমানে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানিও বন্ধ রয়েছে।
তবে পেঁয়াজ আমদানির জন্য অনুমতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান আমদানিকারক শাহরিয়ার আলম।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত অনুমোদন দেওয়া হয়নি। কবে দেওয়া হবে কিংবা দেওয়া হবে কি না সে ব্যাপারেও কর্তৃপক্ষ কিছু বলছে না।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত ছিল। এরপর থেকে বন্দর দিয়ে আর পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।