সম্প্রতি আইইডিসিআর আইসিডিডিআর,বি ও আইদেশি-র সঙ্গে যৌথভাবে প্রায় ২০০ করোনা ভাইরাসের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে দেশে চারটি ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতির কথা নিশ্চিত করেছে।
সোমবার (১৭ মে) আইইডিসিআর এক প্রতিবেদনে এ কথা জানায়। ভ্যারিয়েন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে- বি.১.১.৭ (ইউকে ভ্যারিয়েন্ট), বি.১.৩৫১ (সাউথ আফ্রিকা ভ্যারিয়েন্ট), বি.১.৫২৫ (নাইজেরিয়া ভ্যারিয়েন্ট), এবং বি.১.৬১৭.২ (ইন্ডিয়া ভ্যারিয়েন্ট)।
আইইডিসিআর জানায়, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর ইন্ডিয়া ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি শনাক্ত রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) কাজ করছে। এ ছাড়া কোভিড-১৯ অতিমারির প্রারম্ভিক পর্যায় থেকে অ্যাক্টিভ কেস সার্চ, কোভিড-১৯ রোগ শনাক্তকরণ, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং ও জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি পাশের দেশ ভারতে বিশ্বের সর্বোচ্চ কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। আইইডিসিআর ভারত থেকে আগত ব্যক্তিদের মধ্যে রোগতত্ত্বিক তদন্ত ও সন্দেহজনক রোগীদের জিনোম সিকোয়েন্সিং করছে। এ ধারাবাহিকতায় আইইডিসিআর বিগত এপ্রিল মাসে ভারত থেকে আগত ২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ছয় জন রোগীর নমুনায় বি.১.৬১৭.২ (ইন্ডিয়া ভ্যারিয়েন্ট) শনাক্ত করে। এই ভ্যারিয়েন্টকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন (VOC) হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। এ ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪৪টি দেশে শনাক্ত হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আক্রান্ত রোগীদের সবাই বিগত ১ থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে পাশের দেশ ভারতে (চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হরিয়ানা, এবং পশ্চিমবঙ্গ) চিকিৎসার জন্য ভ্রমণ করেছেন। এই ছয় জনের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের সদস্য। ছয়জনের বয়স ৭ থেকে ৭৫ বছরের মধ্যে। তারা সবাই এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশনে ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন বয়স্ক ব্যক্তি ক্যান্সারসহ অন্যান্য জটিল রোগে ভুগছিলেন এবং তিনি পরবর্তী সময় মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলাদেশে শনাক্ত হওয়া এই ইন্ডিয়া ভ্যারিয়েন্ট-এর সিকোয়েন্স বৈশ্বিক ডাটাবেজ জিআইএসএআইডি (GISAID)-তে জমা দেওয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।