শীতে করোনা সংক্রমণের সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউ রোধে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার ব্যাপারে আরো কঠোর হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মাস্ক ছাড়া ঘর থেকে বের হলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদসহ জেল-জরিমানাও হতে পারে বলে জানা গেছে। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, করোনা সংক্রামণের শুরু থেকে নাগরিকদের সচেতনতায় কাজ করছে পুলিশ। খাদ্যসহায়তা, মাস্ক পরিধান, করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের দাফনসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করেছে তারা। তারই ধারাবাহিকতায় সরকার নতুন করে মাস্ক পরার যে নির্দেশনা দিয়েছে তার পুরোপুরি বাস্তবায়নে কাজ করবে পুলিশ।
গত ৪ঠা নভেম্বর কোভিড-১৯ সংক্রমণের সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান এবং মাঠ পর্যায়ে সবাইকে মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শীত মৌসুমে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে ‘মাস্ক ব্যবহার ব্যতীত প্রবেশ নিষেধ’ ‘মাস্ক পরিধান করুন, সেবা নিন’ ইত্যাদি বার্তা ব্যাপকভাবে প্রচারের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে ধর্মীয় উপসানালয়ে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ঘোষণা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। পুলিশ এই নির্দেশনা বাস্তবায়নেও কাজ শুরু করছে।
এরইমধ্যে দেশের কিছু অঞ্চলে মাস্ক না পরার দায়ে অন্তত ২০ জনকে পুলিশ আটক করে। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত কয়েকজনকে জরিমানাও করে।
পুলিশ সদর দপ্তরের আইজিপি সোহেল রানা গণমাধ্যমকে বলেন, নাগরিকদের মাস্ক পরার সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে সারাদেশের পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। থানায় কেউ মাস্ক পরে না আসলে সেবা দেয়া হবে না। নো মাস্ক, নো সার্ভিস।