মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি এবং টেরা পেমেন্ট সার্ভিসেস (যুক্তরাজ্য) লিমিটেড (TerraPay) বিদেশে পড়াশোনার ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য অধ্যয়ন-সংক্রান্ত অর্থপ্রদানের সুবিধা, গতি এবং সাশ্রয়িতা বৃদ্ধি করতে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।
এই কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা আগের চেয়ে আরও সহজে তাদের উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত অর্থ পাঠাতে পারবেন। এই সহযোগিতা টেরা পে’র বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে গ্রাহকদের পরিবর্তনশীল চাহিদা পূরণে উদ্ভাবনী আর্থিক সমাধান প্রদান করার প্রতি এমটিবির প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে।
এমটিবির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সৈয়দ মাহবুবুর রহমান; উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও রিটেইল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান, মো: শাফকাত হোসেন; উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ট্রেজারি বিভাগের প্রধান, মো: শামসুল ইসলাম; উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ অপারেটিং অফিসার, মো: বখতিয়ার হোসেন; রিটেইল সেগমেন্টসের প্রধান, তাহসিন তাহের; এমটিবি ব্র্যান্ড-এর প্রধান, মো: রজার ইবনে আজাদ, এনআরবি বিভাগের প্রধান, খন্দকার আসিফ খালেদ ; এবং স্টুডেন্ট ব্যাংকিং বিভাগের ইন-চার্জ, মো: আরিফুর রহমানসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যাংক প্রতিনিধিগণ।
টেরা পে’র পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এপ্যাক (APAC) নেটওয়ার্ক প্রধান, কৌশিক ঘোষ এবং বাংলাদেশ ও নেপালের কান্ট্রি ম্যানেজার, মাহমুদুল ইসলাম।
এই অংশীদারিত্ব সম্পর্কে এমটিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন:“এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিদেশে পড়াশোনার জন্য সংক্রান্ত অর্থপ্রদান নির্বিঘ্নে, তাৎক্ষণিকভাবে এবং সাশ্রয়ী মূল্যে পাঠাতে পারবেন; যা এমটিবির সেবা উৎকর্ষতার প্রতিশ্রুতিকে আরও সুদৃঢ় করবে।”
টেরা পে’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ বিজনেস অফিসার আনি সানে বলেন: “আমরা মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত, যা শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক অর্থপ্রদানের ব্যবস্থাপনাকে রূপান্তরিত করতে টেরা পে’র বৈশ্বিক অর্থ স্থানান্তর নেটওয়ার্ককে কাজে লাগাবে। এই অংশীদারিত্ব মূলত বাংলাদেশের পরিবারগুলোর জন্য আন্তর্জাতিকভাবে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি ও অন্যান্য খরচ পাঠানোর বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ ও জটিলতাগুলোর সমাধানে সহায়ক হবে। টেরা পে’র তাৎক্ষণিক, ২৪x৭, স্বচ্ছ এবং সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে পরিচালিত অর্থ স্থানান্তর অবকাঠামো ইতোমধ্যে ১৫০টিরও বেশি দেশে এই চ্যালেঞ্জগুলোর সমাধান করে আসছে।”