ঢাকাবাসীকে যানযট মুক্তি দিতে দ্রুত এগিয়ে চলছে দেশের প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। এরই মধ্যে মেট্রোরেলের নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কিলোমিটার ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ টাকা। আর সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা ও সর্বোচ্চ ভাড়া ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাড়া মওকুফ থাকবে।
এই প্রকল্পের উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেলের মোট দূরত্ব ২১.২৬ কিলোমিটার। প্রথমে উত্তরা থেকে মতিঝিলের দূরত্ব ছিল ২০.১০ কিলোমিটার, নতুন করে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১.১৬ কিলোমিটার বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় মেট্রোরেলের ডিপো এলাকায় ‘মেট্রোরেল প্রদর্শনী ও তথ্য কেন্দ্র’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, মেট্রোরেলে মাসিক, সাপ্তাহিক, পারিবারিক এবং কার্ডে ভাড়া দেওয়ার বিশেষ সুবিধা থাকবে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা প্রতিবার ভ্রমণে বিশেষ ছাড় পাবেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, বাংলাদেশে জাইকার চিফ রিপ্রেজেনটেটিভ ইহুও হায়েকাওয়া এবং ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক।
এদিকে, গত ২২ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমটিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিক জানান, মেট্রোরেলে প্রতি সাড়ে তিন মিনিট পরপর একটি করে ট্রেন চলাচল করার কথা। তবে শুরুতে ১০ মিনিট পরপর ট্রেন চালানো হবে। যাত্রীরা কিছুটা অভ্যস্ত হয়ে উঠলে এবং যাত্রী সংখ্যা বাড়লে এক ট্রেনের সঙ্গে অন্য ট্রেনের বিরতি কমিয়ে আনা হবে।
ঢাকার প্রথম মেট্রোরেল আগামী ডিসেম্বরে চালু হচ্ছে। প্রথম দফায় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলাচল করবে মেট্রোরেল। এজন্য ১০ সেট (প্রতি সেটে ৬টি বগি) ট্রেন প্রস্তুত করা হয়েছে। ফজরের নামাজের পর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এসব ট্রেন চলাচল করবে।
দেশের প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার অংশের কাজ বলতে গেলে শেষ, অগ্রগতি ৯৪ দশমিক ১৪ শতাংশ। দ্বিতীয় ধাপে আগারগাঁও থেকে মতিঝিলের অগ্রগতি ৮৩ দশমিক ০৮ শতাংশ। ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম এবং রোলিং স্টক(রেলকোচ) ও ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহের কাজের সমন্তিব অগ্রগতি ৮৩ দশমিক ১৪ শতাংশ। মতিঝিল থেকে কমলাপুর রুটে ভূমি চূড়ান্ত। এখন পরিষেবা যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে।