মেয়ের সিনেমা মুক্তির দিনে স্বাভাবিকভাবেই আনন্দিত ছন্দা। তবে অন্য একটি কারণে তার মন বিষণ্ণ। কারণ, বিশেষ এই দিনে মেয়েরা তার কাছে নেই। পড়াশোনার প্রয়োজনে অবস্থান করছেন পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে।
ছোট পর্দার গুণী অভিনেত্রী গোলাম ফরিদা ছন্দা দুই কন্যার মা। তার যমজ দুই মেয়ের নাম টাপুর ও টুপুর। এরমধ্যে টাপুরের আজ শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সিনেমার অভিনেত্রী হিসেবে বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছে। ছবিটির নাম ‘দেশান্তর’। ঢাকার দুটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে আশুতোষ সুজন পরিচালিত এই ছবি।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) বিকালে একটি ভিডিও বার্তায় নিজের আনন্দ-দুঃখ মিশ্রিত অনুভূতির কথা জানান এই অভিনেত্রী। ছন্দা বলেন, ‘আজকের দিনটা আমার জন্য যেমন আনন্দের, ঠিক তেমনই কষ্টের। কারণ, আমার মেয়ে দুটো আজ আমার পাশে নেই। আসলে জীবনে কিছু কিছু ব্যাপার থাকে, যখন একটাকে গুরুত্ব দিতে গেলে আরেকটাকে কম গুরুত্ব দিতে হয়। ওদের সামনে ম্যাট্রিক পরীক্ষা, একেবারে কাছেই টেস্ট পরীক্ষা। যে কারণে ওরা ঢাকা থেকে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে চলে গেছে। ওদের আমার দিয়ে আসতে হয়েছে।’
কথাগুলো বলতে বলতে কান্নায় কণ্ঠ জড়িয়ে আসে ছন্দার। অশ্রুসিক্ত অভিনেত্রী বললেন, ‘মা হিসেবে আমার খারাপ লাগবে, এটাই স্বাভাবিক। আমি আমার মেয়েকে পাশে নিয়ে ছবিটা দেখতে পারছি না। তার প্রথম দিনের শো দেখতে পারছি না। এটা তো আমার কাছে অনেক বড় কষ্টের। তবে আমি বলবো, এটা মাত্র শুরু। জীবনে হয়তো এরকম আরও অনেক প্রথম শো দেখতে যেতে হতে পারে।’
সবশেষে নিজের ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি ছন্দা আহ্বান জানান, যেন হলে গিয়ে তার মেয়ের প্রথম ছবিটি দেখেন। একইসঙ্গে কন্যাদ্বয়ের উদ্দেশে বলেছেন, আগামী দিনের কোনও সিনেমার প্রথম শো নিশ্চয়ই তারা একসঙ্গে উপভোগ করবেন।
উল্লেখ্য, নির্মলেন্দু গুণের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘দেশান্তর’। এতে টাপুরের বিপরীতে আছেন ইয়াশ রোহান। দেশভাগ, দেশপ্রেম ও প্রেমের গল্পের ছবিটিতে আরও আছেন আহমেদ রুবেল, মৌসুমী, মামুনুর রশীদ, শুভাশিস ভৌমিক প্রমুখ।
রাজধানীর যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাস ও পুরান ঢাকার লায়ন সিনেমাসে ‘দেশান্তর’ প্রদর্শিত হচ্ছে।