মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির শঙ্কার কথা বলছে আবহাওয়া পূর্বাভাসের স্বীকৃত সব আন্তর্জাতিক মডেল। এ বছরে এটিই হতে যাচ্ছে বছরের প্রথম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় যার নাম শ্রীলঙ্কান আবহাওয়া অধিদপ্তর দিয়েছে আসানি, সিংহলি ভাষার যার অর্থ অত্যন্ত রাগান্বিত বা ক্ষুব্ধ।
বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত আন্দামান-নিকোবর দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তৈরি হতে পারে এই ঝড়, যার সম্ভাব্য গতি হবে ৩৪ নটিক্যাল মাইল এবং স্থলভাগে আঘাত হানার আগে গতি হবে ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার।
মে মাসের ৫-৬ তারিখে এই অঞ্চলে একটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে ঝড়ের বিষয়টি আরও পরে নিশ্চিত করে বলা যাবে বলছে আবহাওয়া অফিস।
কানাডার সাচকাচুন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, ‘আবহাওয়া পূর্বাভাসের ইউরোপীয়, আমেরিকান, কানাডিয় এবং অন্যান্য মডেল অনুযায়ী মে মাসের ৭ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হয়ে স্থলভাগে আঘাত হানবে। ৮ তারিখ লঘুচাপটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে এবং ১০ বা ১১ তারিখে তা স্থলভাগে আঘাত হানবে।’
‘আবহাওয়ার পূর্বাভাসের গ্লোবাল মডেল বা আমেরিকান মডেল অনুযায়ী ঝড়টি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ এবং উড়িষ্যার মাঝামাঝি স্থানে স্থলভাগে আঘাত হানবে কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের মডেল অনুসারে ঘূর্ণিঝড় আসানি ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের ওপর দিয়ে অল্প কিছু অংশ ও পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে মূল অংশ ও বাংলাদেশের সাতক্ষীরা উপকূল দিয়ে অল্প কিছু অংশ বন্দরের উপকূল দিয়ে অতি সক্রিয় ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আঘাত হানবে ১০ মে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে পরের দিন ভোর পর্যন্ত যে কোনো সময়। বাতাসের দমকা গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় প্রায় ১০০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার,’ বলেন মোস্তফা কামাল।
তবে শক্তিশালী এই ঝড়টি কোন জায়গায় স্থলভাগে আঘাত হানবে তা ৫ মে এর পরে সঠিকভাবে বলা যাবে, যোগ করেন এই আবহাওয়া এবং জলবায়ু গবেষক।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিসে যোগাযোগ করা হলে ডিউটি ফোরকাস্টিং অফিসার (আবহাওয়াবিদ) শাহিনুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী ৫-৬ তারিখে আন্দামান-নিকোবর এলাকায় একটি লঘুচাপ বা লো প্রেসার জোন সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ঝড়ের বিষয়ে আরও পরে সুনিশ্চিত করে বলা যাবে।