প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জেব্রা ক্রসিংয়ের বাইরে কারো মৃত্যু হলে কেউ দায় নেবে না। সে দায়িত্ব যে রাস্তা পার হবে তার। দরকার হলে প্রতিটি স্কুলে একজন শিক্ষককেই দায়িত্ব দিতে হবে ছুটি হলে শিক্ষার্থীদের রাস্তা পার করে দেবে। শুধু চালককে দোষ দিলে হবে না, পথচারীকেও সচেতন হতে হবে। যত্রতত্র রাস্তা পার হওয়া যাবে না।
বুধবার (২১ অক্টোবর) ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২০’ উদযাপন উপলক্ষে বনানীতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি মিলনায়তনের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সড়ক শুধু তৈরিই করিনি, সেই সড়ক নিরাপদ করারও চেষ্টা করেছি। কোথায় কোথায় সড়ক দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে, কেন বেশি হচ্ছে সেসব নজর রেখেছি। মহাসড়কের যেখানে যেখানে দুর্ঘটনা হয়, সেই জায়গাগুলো নিরাপদ করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চালকদের জন্য সড়ক পথে বিশ্রামাগার তৈরি করতে হবে। বাসে বিকল্প চালকের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ফিটনেসবিহীন যান চলাচল এবং ওভারটেকিংয়ের মতো অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
গাড়ি চালকের জন্য প্রয়োজনীয় বিশ্রামের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘চালকরাও মানুষ তাদের যে বিশ্রাম বা আহারের প্রয়োজন রয়েছেন সে বিষয়ে সকলে নজর দেন কি না সন্দেহ, অনেকেই এ নিয়ে ভাবেন না। কাজেই, একজন চালক দীর্ঘক্ষণ গাড়ি চালাতে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই একটু ঝিমুনি আসতে পারে আর তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। তাই এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দূরপাল্লার গাড়ির চালকদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, বিকল্প চালক না থাকায় অনেককেই অদক্ষ হেলপারের হাতে গাড়ি ছেড়ে দেয় এবং দুর্ঘটনা ঘটে।’