করোনা তাণ্ডবে লাশের স্তুপ পরিণত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হলেও মিলছে না সুখবর। যেখানে প্রতি মিনিটে ৩ জন মানুষের প্রাণ ঝরছে ভাইরাসটিতে। এতে ঘণ্টায় দাঁড়ায় ১৮০ জনে। থেমে নেই সংক্রমণও। তবে পিছিয়ে সুস্থতা।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার নিয়মিত পরিসংখ্যানের দেয়া তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২ লাখ ৩৬ হাজার ৪৬২ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ২ কোটি ৩৬ লাখ ১৬ হাজার ৩৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজার ৯৮ জন। এ নিয়ে প্রাণহানি বেড়ে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯২৮ জনে ঠেকেছে।
অপরদিকে, সংক্রমণের তুলনায় কম হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ভুক্তভোগী। এতে করে সুস্থতার সংখ্যা ১ কোটি ৩৯ লাখ ৭৫ হাজার ৩৬ জনে পৌঁছেছে।
গত বছরের ২১ জানুয়ারি শিকাগোর এক বাসিন্দার মধ্যে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর থেকে ক্রমান্বয়ে ভয়ানক হতে থাকে পরিস্থিতি।
এর মধ্যে সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে দীর্ঘ হচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়ায়। যেখানে সংক্রমিতের সংখ্যা ২৮ লাখ ৪৬ হাজার। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩১ হাজার ৬৫৯ জনের। টেক্সাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৫১ হাজার। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ৩১ হাজার ৪৮১ জনের। ফ্লোরিডায় করোনার শিকার ১৫ লাখ ১৭ হাজার মানুষ। ইতোমধ্যে সেখানে ২৩ হাজার ৩৯৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
প্রাণহানিতে শীর্ষ শহর নিউইয়র্কে আক্রান্ত ১২ লাখ ১২ হাজার। এর মধ্যে না ফেরার দেশে ৪০ হাজার ১৮৪ জন ভুক্তভোগী। ইলিনয়েসে এখন পর্যন্ত করোনার ভুক্তভোগী ১০ লাখ ৪৬ হাজার। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ হাজার ৬১৭ জন। জর্জিজায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৭ লাখ ৮২ হাজার। এর মধ্যে প্রাণ ঝরেছে ১১ হাজার ৮০৩ জনের।
পেনসিলভেনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৪৭ হাজার। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ৪৯৯ জন মানুষ। নিউ জার্সিতে করোনার শিকার ৬ লাখ ৩ হাজার মানুষ। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ২০ হাজার ২১৯ জনের।
এ ছাড়া ওহিও, টেনেসিস, উত্তর ক্যারোলিনা, অ্যারিজোনা, মিশিগান, ইন্ডিয়ানা, উইসকনসিনের মতো শহরগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়েছে।