যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আরও ৭৩৯ মার্কিনির মৃত্যু হয়েছে। এতে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ২ লাখ ৫২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬২ হাজারের বেশি মানুষ। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা ১ কোটি ১৫ লাখ অতিক্রম করেছে। যদিও সুস্থতা লাভ করেছেন ৭০ লাখের বেশি রোগী।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার নিয়মিত পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ ৬২ হাজার ১৪৯ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এতে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ৭৩৯ জন। এ নিয়ে প্রাণহানি বেড়ে ২ লাখ ৫২ হাজার ৬৫১ জনে ঠেকেছে।
অপরদিকে, সংক্রমণের তুলনায় কম হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ভুক্তভোগী। এতে সুস্থতার সংখ্যা ৭০ লাখ ১৯ হাজার ৩০৪ জনে পৌঁছেছে।
চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি শিকাগোর এক বাসিন্দার মধ্যে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এর পর থেকে ক্রমান্বয়ে ভয়ানক হতে থাকে পরিস্থিতি।
এর মধ্যে সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হার দীর্ঘ হচ্ছে টেক্সাসে। এ শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লাখ ৬ হাজারের বেশি। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ২০ হাজার ২১৮ জনের। ক্যালিফোর্নিয়ায় সংক্রমিতের সংখ্যা ১০ লাখ ৪৫ হাজারে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ৩০৪ জনের। ফ্লোরিডায় করোনার শিকার ৮ লাখ ৯০ হাজার। ইতোমধ্যে সেখানে ১৭ হাজার ৫৬১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
প্রাণহানিতে শীর্ষ শহর নিউইয়র্কে আক্রান্ত ৬ লাখ ১ হাজার পেরিয়েছে। এর মধ্যে না ফেরার দেশে ৩৪ হাজার ৩৩ জন ভুক্তভোগী। ইলিনয়েসে এখন পর্যন্ত করোনার ভুক্তভোগী ৫ লাখ ৮৫ হাজারের বেশি। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ হাজার ২০৪ জন। জর্জিজায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ২৬ হাজারের বেশি। এর মধ্যে প্রাণ ঝরেছে ৮ হাজার ৯৬৭ জনের।
নিউ জার্সিতে করোনার শিকার ২ লাখ ৮৮ হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ১৬ হাজার ৭০৮ জনের।
এ ছাড়া উত্তর ক্যারোলিনা, টেনেসিস, উইসকনসিন, অ্যারিজোন, ওহিও, পেনসিলভেনিয়া, মিশিগান, মেসৌরি, ইন্ডিয়ানা ও আলবামার মতো শহরগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে।