গত একদিনেও যুক্তরাষ্ট্রে ২,৯১৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৯৩ হাজারের বেশি মার্কিনির মৃত্যু হয়েছে ভাইরাসটিতে। আক্রান্ত হয়েছেন আরও ২ লাখের অধিক মানুষ। অন্যদিকে বেড়েছে সুস্থতাও।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার নিয়মিত পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২ লাখ ৮ হাজার ১২১ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ৫৫ লাখ ৯১ হাজার ৭০৯ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার ৯১৩ জন। এ নিয়ে প্রাণহানি বেড়ে ২ লাখ ৯৩ হাজার ৩৯৮ জনে ঠেকেছে।
অপরদিকে, সংক্রমণের তুলনায় কম হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজারের বেশি ভুক্তভোগী। এতে করে সুস্থতার সংখ্যা ৯০ লাখ ৮৭ হাজার ৬৯ জনে পৌঁছেছে।
চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি শিকাগোর এক বাসিন্দার মধ্যে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এর পর থেকে ক্রমান্বয়ে ভয়ানক হতে থাকে পরিস্থিতি।
এর মধ্যে সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হার দীর্ঘ হচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়ায়। যেখানে সংক্রমিতের সংখ্যা ১৪ লাখ ২২ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২০ হাজার ২৬১ জনের। টেক্সাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ৮১ হাজারের বেশি। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ২৩ হাজার ৫৩৪ জনের। ফ্লোরিডায় করোনার শিকার ১০ লাখ ৭৪ হাজার মানুষ। ইতোমধ্যে সেখানে ১৯ হাজার ৪০২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
ইলিনয়েসে এখন পর্যন্ত করোনার ভুক্তভোগী ৮ লাখ ৪ হাজার। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ হাজার ৩৮৪ জন। প্রাণহানিতে শীর্ষ শহর নিউইয়র্কে আক্রান্ত ৭ লাখ ৬২ হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে না ফেরার দেশে ৩৫ হাজার ১৮৮ জন ভুক্তভোগী। জর্জিজায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ১২ হাজার প্রায়। এর মধ্যে প্রাণ ঝরেছে ৯ হাজার ৮৭৩ জনের। নিউ জার্সিতে করোনার শিকার ৩ লাখ ৮৭ হাজার মানুষ। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ১৭ হাজার ৫৫৮ জনের।
এ ছাড়া উত্তর ক্যারোলিনা, টেনেসিস, উইসকনসিন, অ্যারিজোন, ওহিও, পেনসিলভেনিয়া, মিশিগানের মতো শহরগুলোয় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়েছে।