চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৬ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় ৫৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেশি।
সম্প্রতি ইউএস অফিসিয়াল সোর্স, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (অটেক্সা) ২০২২ সালের জানুয়ারি-আগস্ট সময়ের পোশাক আমদানির পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। সেখানে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
আলোচ্য সময়ে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি ৫৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও একই সময়ে বিশ্ব বাজার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি গড়ে বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানির ক্ষেত্রে তৃতীয় বৃহত্তম উৎস।
এদিকে ২০২২ সালের প্রথম আট মাসে চীন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি ৩৭ দশমিক ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মোট আমদানির পরিমাণ ১৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে ভিয়েতনাম থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি ১২ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার দাঁড়িয়েছে, যার বছরওয়ারী বৃদ্ধির হার ৩৩ দশমিক ৬২ শতাংশ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ দশটি পোশাক সরবরাহকারী দেশের মধ্যে-ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং পাকিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি বছরওয়ারী ভিত্তিতে যথাক্রমে ৫৬ দশমিক ৯০ শতাংশ, ৫৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ, ৫১ দশমিক ৬৪ শতাংশ, ৪২ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং ৪২ দশমিক ১৬ শতাংশ হারে বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক আমদানির তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বাসসকে বলেন, আমদানি পরিসংখ্যান ইঙ্গিত করেছে যে- কোভিড সংকট থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রিটেইল ইন্ডাষ্ট্রির দ্রুত পুনরুদ্ধার ঘটছে। ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশের রপ্তানিতে এটি প্রতিফলিত হয়েছে, যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি ছিল। তবে তিনি মনে করেন, বৈশি^ক অর্থনৈতিক বিপর্ষয় এবং ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির কারণে চলতি অক্টোবর মাসে এবং তার পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানির এ ধরনের উচ্চ প্রবৃদ্ধির কমে যেতে পারে।
বিজিএমইর এই পরিচালক আরও বলেন, যেহেতু চলতি বছরে আগষ্ট পর্যন্ত বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে, সেটি সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিতে প্রতিফলিত হবে। তাই আমরা সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিতে কিছুটা বৃদ্ধি দেখতে পাব।