২০২২-২৩ অর্থ বছরের ১০ মাসে (জুলাই-মে) যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি পাঁচ দশমিক ০৭ শতাংশ কমেছে। এই সময়ে রপ্তানি আয় আট দশমিক চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে কমে সাত দশমিক ৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।
শনিবার (১৭ জুন) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। তবে, এই সময়ে যুক্তরাজ্য ও কানাডায় রপ্তানি যথাক্রমে ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং ১৭ দশমিক ৬২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
একই সময়ে অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি ১৮ দশমিক ০৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধান অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে জাপানে ৪৫ দশমিক ৫০ শতাংশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। যেখানে রাশিয়া এবং চিলিতে যথাক্রমে ২৮ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং ১১ দশমিক ৭৯ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থ বছরের জুলাই-মে এই সময়ে মোট পোশাক রপ্তানি পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ ৪২ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এই মোট পোশাক রপ্তানির মধ্যে ২১ দশমিক ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক (মোট রপ্তানির ৪৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ) ইইউর বাজারে গেছে। সেখানে যুক্তরাজ্যের শেয়ার ছিল ১০ দশমিক ৭৭ শতাংশ। টাকার অংকে সেটি চার দশমিক ৫৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আর, কানাডায় মোট রপ্তানির তিন দশমিক ২৬ শতাংশ অর্থাৎ এক দশমিক ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি করা হয়েছে। এছাড়া, সাত দশমিক ৬৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের রপ্তানি হয়েছে অপ্রচলিত বাজারে, যা মোট রপ্তানির ১৮ দশমিক ০৪ শতাংশ।
উল্লেখিত সময়ে জার্মানিতে পূর্ববর্তী অর্থ বছরের একই সময়ের (জুলাই-মে ২০২১-২২) তুলনায় রপ্তানি সাত দশমিক ২২ শতাংশ কমেছে। টাকার অংকে রপ্তানি ছয় দশমিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে কমে ছয় দশমিক ০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। ফ্রান্স ও ইতালিতে রপ্তানি যথাক্রমে দুই দশমিক ছয় এবং দুই দশমিক ০৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। যেখানে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ২৩ দশমিক চার শতাংশ এবং ৪৪ দশমিক ৮১ শতাংশ।