শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

লঘুচাপটি রূপ নিয়েছে নিম্নচাপে, বন্দরে সতর্কসংকেত

প্রকাশঃ

দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এটি আরো পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আগামী শনিবারের মধ্যে ভারতের উত্তর তামিলনাড়ু-দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। বাংলাদেশে এর তেমন প্রভাব পড়ার আশঙ্কা নেই। তবে তিন দিন সামান্য বৃষ্টি হতে পারে।

নিম্নচাপের কারণে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজারকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার তেমন আশঙ্কা নেই, নিম্নচাপ হিসেবেই এটি ভারতের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। বাংলাদেশে এর বড় প্রভাব না পড়লেও বৃহস্পতিবার কোনো কোনো অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে।

আগামী শুক্রবার বৃষ্টিপাতের বিস্তৃতি খানিকটা বাড়তে পারে। পরদিন শনিবারও কিছুটা বৃষ্টি থাকতে পারে দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে। তবে রবিবার থেকে আবার বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে।
বাংলাদেশে নিম্নচাপটির প্রভাব সম্পর্কে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক গতকাল বুধবার রাতে বলেন, ‘নিম্নচাপের তেমন প্রভাব নেই বাংলাদেশে।

বড়জোর হালকা বৃষ্টি হতে পারে কোনো কোনো অঞ্চলে। মূলত শুক্রবারই বৃষ্টি কিছুটা বেশি থাকতে পারে, তবে দেশের সব অঞ্চলে নয়। ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেটের কিছু অংশে বৃষ্টি থাকতে পারে এদিন। শনিবার আবার কিছুটা কমবে বৃষ্টি। এরপর কিছুদিন আবহাওয়া অনেকটা শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে আজ দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।

এদিকে মৌসুমি বায়ু বিদায় নেওয়ায় দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলেই বৃষ্টি হচ্ছে না। আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকছে। দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৫১টি পর্যবেক্ষণাগারের মাত্র ৯টিতে বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে গতকাল। এসব অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণও ছিল নগণ্য। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জে, পাঁচ মিলিমিটার। আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, এটি হালকা (১ থেকে ১০ মিলিমিটার) বৃষ্টিপাত। এ ছাড়া গোপালগঞ্জে ও নীলফামারীর ডিমলায় তিন মিলিমিটার করে বৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ও কক্সবাজারের টেকনাফে, ৩৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শেয়ার করুনঃ

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ