লঞ্চের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ৬০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে দেশের বাজারে ডিজেলের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে। একইসঙ্গে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে সারাদেশে লঞ্চ চলাচলের ঘোষণাও দিয়েছেন লঞ্চ মালিকরা।
রোববার বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ কার্যালয়ে লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ- বিআইডব্লিউটিএ। ওই বৈঠক শেষে বিআইডব্লিউটিএ-এর জনসংযোগ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, লঞ্চের সর্বনিম্ন ভাড়া ১৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ টাকা করা হয়েছে। আগামী সোমবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে রোববার বিকেলে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন (যাত্রী পরিবহন) অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বীর বিক্রম মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র সহসভাপতি বদিউজ্জামান বাদল, বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি শহীদ ভুঁইয়া, বিআইডব্লিউটির সদস্য (অপারেশন) দেলোয়ার হোসেন, সদস্য (অর্থ) নুরুল আলম। এ সভায় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপসচিব আমিনুল ইসলাম।
মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সন্তোষজনকভাবে সমাধান হওয়ায় আজ রাত থেকেই লঞ্চ চলাচল শুরু হচ্ছে।’ এর আগে লঞ্চ মালিকদের পক্ষ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত লঞ্চ ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সার পরিবর্তে ৩ টাকা ৪০ পয়সা এবং ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা ৮০ পয়সা নির্ধারণের দাবি জানানো হয়েছিল।
বৈঠক শেষে গোলাম সাদেক জানান, লঞ্চভাড়া ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ১ টাকা ৭০ পয়সার পরিবর্তে ২ টাকা ৩০ পয়সা ও ১০০ কিলোমিটারের ঊর্ধ্বে ১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে শনিবার থেকে সারাদেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছিলেন লঞ্চ মালিকরা। তাদের কোনো সংগঠন ধর্মঘটের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা না দিলেও মালিকরা শনিবার বিকেলে সদরঘাট টার্মিনাল থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছিলেন তাদের লঞ্চ।
ভাড়া পুনর্নির্ধারণের দাবিতে সড়ক পরিবহন সমিতিগুলো শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করে। এ দুদিনে ট্রেন ব্যতিত গণপরিবহন বন্ধ থাকায় জনসাধারণের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে।