আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেই সাথে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুটি নতুন ড্রিমলাইনার্স এয়ারক্রাফট ’সোনার তরী ও অচিন পাখি’ এবং বিমানের নতুন মোবাইল অ্যাপও উদ্বোধন করেন তিনি।
এর আগে গতকাল শুক্রবার শাহজালাল বিমানবন্দরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলী সাংবাদিকদের বলেন, তৃতীয় টার্মিনাল নির্মিত হলে এটি হবে এ অঞ্চলের মধ্যে সর্বাধুনিক বিমানবন্দর। ফলে বছরে আরও অতিরিক্ত ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রী চলাচল করতে পারবে।
তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে ২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে সরকারি কোষাগার থেকে পাওয়া যাবে ৫ হাজার কোটি টাকা এবং বাকি অর্থ জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) থেকে পাওয়া যাবে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিতা এবং কোরিয়ার স্যামসাং একটি কনসোর্টিয়ামের অধীন এই নির্মাণ কাজটি করবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, একটি একক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরের মাধ্যমে নতুন টার্মিনালটির সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, সরকার নতুন টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং টাস্কের জন্য একটি দক্ষ কোম্পানি মনোনীত করতে দরপত্র উন্মুক্ত করে দেবে।
নতুন আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনালটি হবে ২২.৫ লাখ বর্গফুট। বর্তমানে দুটি টার্মিনালে ১০ লাখ বর্গফুট স্পেস রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিমানবন্দরের বর্তমান যাত্রী ধারণক্ষমতা ৮০ লাখ থেকে বেড়ে ২ কোটি হবে এবং কার্গোর ধারণক্ষমতা বর্তমান দুই লাখ টন থেকে বেড়ে পাঁচ লাখ টন হবে।