শীতে ত্বকের যত্নে হোক অথবা রোগ থেকে দূরত্ব, খেজুর কিন্তু বেজায় উপকারী। ড্রাই ফ্রুট খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। তার মধ্যে অবশ্যই খেজুর অন্যতম। মিষ্টি এবং ভিন্ন স্বাদের তো বটেই তার সঙ্গে কিন্তু বিশেষভাবে শরীরের পক্ষে প্রয়োজনীয়, বলা উচিত কার্যকরী। শীতের আমেজ শুরুর মুখেই কিন্তু সবথেকে বেশি নিজেকে যত্নে রাখা উচিত। তার সঙ্গে শীতকালের স্পেশ্যাল ডায়েট হিসেবেও এটি কিন্তু আপনার বাকেট লিস্টে থাকতেই হবে।
খেজুর অত্যন্ত উৎপাদন সমৃদ্ধ যেমন ফাইবার, মিনেরলস, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এমনকি ম্যাগনেসিয়াম তথা কপারও থাকে এর মধ্যে। আপনার হজমে যেমন সহায়ক তেমনই শারীরিক ঘাটতি পূরণে সক্ষম। এবং বিশেষজ্ঞদের মতে সারা বিশ্বে অন্তত ত্রিশ ধরনের খেজুরের খোঁজ মেলে। আর খেজুর শরীরের অন্যান্য গাফিলতিতে দারুণ ভাবে কাজ দেয়। সেগুলি কী কী?
খেজুর, হাড়ের জোর বাড়াতে সক্ষম। এটি বিপুল মাত্রায় ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ এবং পটাশিয়াম তথা ফসফরাস হাড়ের ঘনত্ব, পেশীর শক্তিকরণ এই দিকগুলিতে ভাল ভাবেই কাজ দেয়। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে অবশ্যই দুটো খেজুর দরকার।
আপনার অ্যাথ্রাইটিস আছে? তবে খেজুর আপনার কাছে বন্ধুসম। এটি শরীরের প্রদাহ দুর করে এবং আপনার শারীরিক বিশেষ করে পেশীর ব্যথা কম করতে দারুন কাজ দেয়। অনেক সময় শিরশিরানি অনুভব হয় সেই থেকেও কিন্তু আপনি রেহাই পাবেন।
যদি কনস্টিপেশন থেকে কষ্ট পান। তবে প্রতিদিন রাত্রে খাওয়ার পর খেজুর ভেজানো গরম দুধ ট্রাই করতে পারেন। কষ্ট অনেক কমবে এবং আপনার হজমও সঠিক হবে। সঙ্গে স্ট্যামিনা কিন্তু বাড়বেই।
হার্ট অ্যাটাকের করাল গ্রাস থেকে খেজুর কিন্তু মুক্তি দিতে পারে। যেহেতু শীতকালে দৈহিক তাপমাত্রা কমে যায়, তাই এই ঝুঁকি কিন্তু বেড়ে যায়। খেজুর এক তো আপনার দেহকে গরম রাখে এবং দ্বিতীয় কোলেস্টেরল কমায়। আর এ কারণেই ব্লাড প্রেসার এবং হার্ট অ্যাটাক এর ঝুঁকি কমে যায়।
এনার্জি ক্রমেই কমে যাচ্ছে? তাহলে খেজুর এবং টাটকা খেজুরের রস কিন্তু আপনার পক্ষে বেশ কার্যকরী। সহজেই এনার্জি যেমন পাবেন, তেমনই কিন্তু প্রি ওয়ার্ক আউট এর পর ড্রিংক হিসেবে এটি দারুণ কাজে দেবে।
শীতে ত্বকের যত্নে খেজুর আপনার প্রিয় জিনিস হতে পারে। ত্বক শুকনো এবং ফেটে যাচ্ছে? তাহলে প্রতিদিন অল্প করে এটি খেলে কিন্তু ত্বকের জৌলুস আগের থেকে বৃদ্ধি পাবে।
তাহলে, আজ থেকেই খেজুর প্রেম শুরু করছেন তো?