গতকাল মঙ্গলবার দেশের শেয়ারবাজারে ফের দরপতন হয়েছে। এর আগে টানা তিন কার্যদিবস সূচকের উর্ধমুখী ছিল ডিএসইতে। এই দিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের পতনের পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও কমেছে।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দুই বাজারেই লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। বেশিরভাগ কোম্পানির দর হারানোর কারণে কমেছে বাজার মূলধন। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা। যা আগের কার্যদিবস শেষে লেনদেন ছিল ৩ লাখ ৮৬ হাজার ১৭৭ টাকা। এ হিসাবে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৩ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা।
বিশ্লেষকদের মতে, বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তোলার প্রবণতার কারণেই এই দরপতন ঘটেছে। তবে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রির প্রবণতা আগের তুলনায় কমেছে।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২৬৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হয়েছে। এর বিপরীতে দাম বেড়েছে মাত্র ৬৪টির এবং ২০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৩৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১২৫ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচকটি ১৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮২৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর শরিয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৭৭ পয়েন্টে।
সব সূচকের পতনের পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। দিনভর বাজারটিতে ৪২৯ কোটি ৬৯ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৩৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ লেনদেন কমেছে ৮ কোটি ৮ লাখ টাকা।
ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৩ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফরচুন সুজের ২৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর ১৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুন্নু সিরামিক।
এছাড়া বাজারটিতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, বিকন ফার্মাসিউটিক্যাল, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল, জিনেক্স ইনফোসিস, ডরিন পাওয়ার এবং জেএমআই সিরিঞ্জি।