বুধবার, ২৫শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

সাবমেরিন ক্যাবল কাটা পড়ায় দেশের ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত

প্রকাশঃ

বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের সমস্যার কারনে রোববার (৯ আগস্ট) সকাল থেকে দেশের ইন্টারনেট সেবায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটেছে। এতো বড় ধরনের ব্যাঘাত এর আগে দেখা যায়নি। দেশের ইন্টারনেট সেবার প্রায় ৬০ শতাংশ ব্যাহত হচ্ছে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এর সহ-সভাপতি ও আইআইজিএবি’র মহাসচিব আহমেদ জুনায়েদ।

আহমেদ জুনায়েদ বলেন, কুয়াকাটার মাইটভাঙ্গা এলাকায় অবস্থিত সিমিউই-৫ সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কথা জানা গেছে। এটি নতুন সাবমেরিন কেবল, যা ২ বছর আগে স্থাপন করা হয়। ল্যান্ডিং স্টেশনের ৩-৪ কিলোমিটার দূরে আলিপুর নামক স্থানে এর ক্যাবল কাটা পড়েছে। এ ঘটনায় বেলা ১১টার দিকে ইন্টারনেট ডাউন হয়ে পড়ে। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) কর্তৃপক্ষ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে লাইন মেরামতের কথা বলেছে। তবে সন্ধ্যার মধ্যে ঠিক হওয়ার বিষয়ে আমরা এখনো নিশ্চিত না।

আহমেদ জুনায়েদ আরও বলেন, বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ব্যবহারের পরিমাণ ১ হাজার ৭০০ জিবিপিএস। এর মধ্যে সর্বাধিক পরিমাণ ব্যান্ডউইথ (১০০০-১১০০ জিবিপিএস) সিমিউই-৫ এর মাধ্যমে আসে। গুরুত্বপূর্ণ এই সাবমেরিন ক্যাবলটি কাটা পড়ায় ৬০ শতাংশ ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে। এখন শুধুমাত্র সিমিউই-৪ এর মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা সচল রাখা হয়েছে।

এদিকে, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান বলেন, পটুয়াখালীতে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের (এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৫) পাওয়ার সাপ্লাইয়ে সমস্যা হয়েছে। আজ দুপুরে এ সমস্যা হওয়ার পর মেরামতের কাজ চলছে। আজকের মধ্যে সমাধান হবে বলে আশা করছি।

মশিউর রহমান বলেন, দেশে যে ব্যান্ডইউথ ব্যবহার করা হয়, তার প্রায় অর্ধেক দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল থেকে সরবরাহ করা হয়। ওই লাইন বন্ধ থাকায় সারা দেশে গ্রাহকরা ধীরগতির সমস্যায় পড়েছেন।

বাংলাদেশ প্রথম সাবমেরিন কেবল ‘সি-মি-উই-৪’ এ যুক্ত হয় ২০০৫ সালে। আর ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে সি-মি-উই-৫ সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হয়।

দ্বিতীয় এই স্টেশনের মাধ্যমে সাউথইস্ট এশিয়া-মিডলইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের সাবমেরিন কেবল থেকে সেকেন্ডে ১ হাজার ৫০০ গিগাবিট (জিবি) গতির ইন্টারনেট পায় বাংলাদেশ।

এমনিতে ৭০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথের বেশি এ কেবলের মাধ্যমে ইন্টারনেট গেইটওয়ে বা আইআইজিগুলো পেয়ে। এখন সরবরাহ কমে যাওয়ায় মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকরাও কিছুটা সমস্যায় পড়ছেন বলে জানান সুমন।

সাবমেরিন কেবল ছাড়াও বাংলাদেশ এখন ছয়টি বিকল্প মাধ্যমে (আইটিসি বা ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল কেবল) ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের সঙ্গে যুক্ত। ইন্টারনেট সেবাদাতাদের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে প্রায় এক হাজার ৭০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার হয়ে থাকে যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক সরবারহ করে থাকে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল।

শেয়ার করুনঃ

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ