সিনোফার্মের আরও ৩০ লাখ ডোজ করোনার টিকা দেশে পৌঁছেছে। বেইজিং ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকা বহনকারী পৃথক তিনটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। প্রতিটি ফ্লাইটে ১০ লাখ করে টিকা আসে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ শাখার উপমহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্রে জানা গেছে, মোট ৩০ লাখ ডোজ করোনার টিকা দেশে আনতে ২৯ জুলাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অত্যাধুনিক তিনটি ড্রিমলাইনার (একটি বোয়িং ৭৮৭-৯ ও দুইটি বোয়িং ৭৮৭-৮) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চীনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে প্রয়োজনীয় তাপমাত্রায় বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে এসব টিকা দেশে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আন্তর্জাতিক এভিয়েশন নীতিমালা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সুরক্ষানীতি যথাযথভাবে অনুসরণ করে করোনাকালে সাশ্রয়ী খরচে টিকা, ভেন্টিলেটর ও অন্যান্য সুরক্ষাসামগ্রী পরিবহন করছে বিমান।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক জানান, বেইজিং এয়ারপোর্ট থেকে বাংলাদেশ বিমানের তিনটি ফ্লাইটে মোট ৩০ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় এসেছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় প্রথম ফ্লাইটে ১০ লাখ ডোজ টিকা নিয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে একটি বিমান। এরপর রাত সোয়া ১টায় আরও ১০ লাখ টিকা পৌঁছায়। তৃতীয় ফ্লাইটটি আরও ১০ লাখ টিকা নিয়ে রাত সোয়া ৩টায় ঢাকায় অবতরণ করে। সব মিলিয়ে এই চালানে ৩০ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসেছে।
সিনোফার্মের এসব টিকা গাজীপুরে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ওয়্যারহাউজে রাখা হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনায় সেখান থেকে চাহিদা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন প্রান্তে টিকা পাঠানো হবে।
এর আগে, গত ১২ মে প্রথমবারের মতো সিনোফার্মের পাঁচ লাখ টিকা দেশে আসে। সেই টিকাগুলো চীন সরকার বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দেয়। ১৯ মে সরকার চীনের সিনোফার্মের তৈরি সার্স-কোভ-টু ভ্যাকসিন সরাসরি ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেয়। এরপর কয়েক ধাপে চীন থেকে কেনা এবং উপহারের টিকা আসে।
দেশে সরকার গণটিকাদানের যে কর্মসূচি শুরু করেছে, তার একটি বড় অংশে এসব টিকা দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে, ৮ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। এরপর তা ব্যবহারে অনুমোদন দেয় বাংলাদেশও।