আগামী বছর অথ্যাৎ ২০২০ সালের পবিত্র হজের জন্য সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুষ্ঠিত হবে ৪ ডিসেম্বর। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আগামীকাল (সোমবার) সৌদি আরব যাচ্ছে।
এবারের হজ চুক্তিতে বাংলাদেশের হজযাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি, হজের ব্যয় কমানো, বাংলাদেশী সব হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সম্পন্ন করা, ঢাকা-মদিনা হজ ফ্লাইট ৫০ শতাংশ চালুসহ হজযাত্রীদের জন্য সহায়ক বেশ কিছু নতুন প্রস্তাব থাকছে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র মতে, ওআইসি কনভেনশন অনুসারে মুসলিম জনসংখ্যার প্রতি হাজারে একজন করে হজযাত্রীর কোটা বরাদ্দ দেয় সৌদি সরকার। বাংলাদেশের মুসলিম জনসংখ্যার পুরনো হিসাব অনুসারে সর্বশেষ চলতি বছর হজযাত্রীর কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন দেওয়া হয়েছিল। তবে বাস্তবে হজ পালনে আগ্রহীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলো কোটা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছে।
বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের বর্তমান মুসলিম জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৮০ লাখ ৪৩ হাজার। ওআইসির নিয়মানুসারে এ জনসংখ্যার অনুপাতে এবারের হজ চুক্তিতে এক লাখ ৪৮ হাজার জনের কোটা চাওয়া হবে। এটি অনুমোদিত হলে আগের চেয়ে এবারের কোটায় ২০ হাজার ৮০২ জন বাড়বে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, আগামী বছরের হজ চুক্তিতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮০ শতাংশ এবং সরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০ শতাংশ হজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তাব থাকছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে জেদ্দায় ৫০ শতাংশ এবং মদিনায় ৫০ শতাংশ হজ ফ্লাইট চালুর আবেদন করা হচ্ছে।