স্কুল ও কলেজের সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনায় ১১টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। করোনার বিস্তার ঠেকাতে এবং লেখাপড়া চালিয়ে যেতে অনলাইন মাধ্যমে পাঠদান করতে হবে।
শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বেসরকারি কলেজ শাখার মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর মো শাহেদুল খবির চৌধুরী সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করা যাচ্ছে যে, করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে নিমরূপ নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে মেনে সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
১১টি নির্দেশনায় বলা হয়েছে:-
১. আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ পর্যন্ত সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
২. এ সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বাস্তবতার ভিত্তিতে অনলাইনভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে শিখন-শেখানো কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
৩. যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক অফিস, জেলা শিক্ষা অফিস ও উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস স্থানীয় প্রশাসন ও সিভিল সার্জনের সাথে সমন্বয় অব্যাহত রাখবে।
৪. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধকালীন শ্রেণি কক্ষ, গ্রন্থাগার, গবেষণাগারসহ প্রতিষ্ঠানের সকল বিদ্যুৎ, টেলিফোন, ইন্টারনেট, পানি এবং গ্যাস সংযোগ নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
৫. এ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ ও সামগ্রিক নিরাপত্তার বিষয়টির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
৬. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রতিষ্ঠানের জরুরি প্রয়োজনে স্বাস্থ্য বিধি প্রতিপালনপূর্বক শিক্ষক ও কর্মচারীদের দায়িত্বে নিয়োজিত রাখতে পারবেন।
৭. যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রবাস/ছাত্রীনিবাসে বৈধ আবাসিক শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছে তাদের সুবিধার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ছাত্রাবাস/ছাত্রী নিবাসসমূহ খোলা থাকবে। তবে সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
৮. অধিদপ্তরের অধীন সব দপ্তর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা, শিক্ষক ও কর্মচারীকে অবশ্যই টিকা সনদ গ্রহণ করতে হবে।
৯. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় যথারীতি চালু থাকবে; সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
১০. জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি ক্রীড়া সমিতির আয়োজনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।
১১. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।
সরকার ঘোষিত সব স্বাস্থ্যবিধি ও অন্যান্য বিধিনিষেধ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপযুক্ত নির্দেশনাসমূহ বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।