স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তি সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী “মুজিববর্ষ” এর যুগলবন্ধন ও যুগ-সন্ধিক্ষণে আমরা দাঁড়িয়ে। নতুন উদ্যমে আমাদের পুন:পরিচয় ও শেকড়ের সন্ধানে আমরা প্রাণবন্ত ও সঞ্জীবিত।
আমরা যুগে যুগে ঔপনিবেশিকদের সাথে লড়াই করেছি খালি হাতে লড়াই করেছি পাকিস্তানিদের সাথে, ছিনিয়ে এনেছি স্বাধীনতা। সূর্যসেন, প্রীতিলতা, হাজী শরীয়তউল্লাহ, ক্ষুদিরাম, ‘কোনঠেবাহে’ নুরালদীন, মজনু ফকির, বাঘা যতীন, তিতুমীর, ভাসানী, চিত্তরঞ্জন, সুভাষ, রবীন্দ্র, নজরুল ও আরো অনেকে আমাদের অনায়াস গৌরব ও আমাদের মাটি থেকে তাঁদের স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফূর্ত উৎপত্তি। বস্তুত: আমাদের অস্তিত্ব ঘিরে আছে সংগ্রাম, তেজস্বিতা ও সীমাহীন মমতার এক আশ্চর্য সৌকর্য।
কিন্তু দীর্ঘদিনের পরাধীনতার গ্লানি, শাসন শোষণ ও প্রতারণা বাঙালির সংগ্রামী ও বীর্যমান চরিত্রকে অস্পষ্ট করেছে। কিন্তু চিরকালই বীরধারা এবং অধিকার হরণের বিরুদ্ধে প্রবল ক্রোধ এবং প্রয়োজনে শ্রেষ্ঠ আত্মত্যাগের অনায়াস ক্ষমতা অন্তঃসলিলা স্রোতে বাংলার মানুষের চরিত্রের মধ্যে প্রবাহিত হয়েছে। আমাদের এ বীর পরিচয় স্পষ্ট হওয়ার প্রয়োজন ছিল।
বাংলার সহস্র বৎসরের ইতিহাসে-যা ঘটনাবহুল এবং সংগ্রামে ভরা সব থেকে বড় সৌভাগ্য, পরিপূর্ণতা, তাৎপর্য ও অনুপ্রেরণা বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘিরে। জাদুকরী সম্মোহন ক্ষমতার অধিকারী বঙ্গবন্ধু ছিলেন প্রজ্ঞা ও দূরদৃষ্টিভরা দার্শনিকও। বঙ্গবন্ধু ছিলেন পরিপূর্ণ দৃষ্টির অধিকারী-দৃষ্টি, অর্ন্তদৃষ্টি এবং দুরদৃষ্টির সম্মিলন দেখি তাঁর মাঝে। তিনি মানুষের হৃদয়ের ভাষা পড়তে পারতেন-তা ছিল তাঁর ভালোবাসা ও রাজনীতির নিয়ামক। তাঁর এক অঙ্গুলিহেলনে সাড়ে সাতকোটি মানুষ লৌহ কঠিন একতায় আবদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। কামার, কুমার, কৃষক, যুবা, বৃদ্ধ, তরুণতরুণী, ছাত্রছাত্রী সব শ্রেণির মানুষ সম্পূর্ণ অনিশ্চয়তার মধ্যেও শুধুমাত্র ‘ভরসা’ ও ‘বিশ্বাসে’ লড়াই করল। খালি হাতে ছিনিয়ে আনলো স্বাধীনতা। এক অনন্য ইতিহাস-দ্বিতীয় খুঁজে পাওয়া যাবে না।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার সহস্র বৎসরের তেজ, কবিতা ও করুণার যোগফল-এ সব ঘিরেই আমাদের পরিচয়, পরিম-ল ও পরিক্রমা আমাদের বীর সত্তার পুনঃজাগরণ-পুনর্জীবিত চেতনা-মুক্তিযুদ্ধ-আমাদের স্বাধীনতা-আমাদের গন্তব্য স্বপ্নের “সোনার বাংলা”।
এ অভিযাত্রা সহজ নয়-বন্ধুর এ পথ। অপরিমেয় শক্তি সামর্থ, দানবীয় বুদ্ধিমত্তা ও ষড়যন্ত্র রুদ্ধ করার চেষ্টা করছে এ অভিযাত্রা। ’৭৫ এর আগস্ট মাসে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ইতিহাসের গতিপথ রুদ্ধ হয়নি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা, শহীদ পরিবার, জাতীয় চারনেতা, অজস্র শহীদের রক্তে আমাদের মাটি স্নাত স্নিগ্ধ পূত ও পবিত্র। আমরা পরিশুদ্ধ হয়েছি, ঠিকানা খুঁজে পেয়েছি ও সংকল্পে দৃঢ় হয়েছি। বাংলার পরিচয় দিনে দিনে আরো সমুজ্জ্বল হবে। বঙ্গবন্ধু বাঙালির পরিচয় পুর্ণ করেছেন। পরিপুর্ণ এ পরিচয় সত্য ও সুন্দর এবং তা অমোচনীয় ও শাশ্বতই থাকবে।
বঙ্গবন্ধুর চিন্তা চেতনা ও কর্মকা- ছিল সুদূরপ্রসারী। তিনি ৯ আগস্ট ১৯৭৫ এ ক্রয় করলেন শেল কোম্পানি থেকে সব গ্যাস-সেই থেকে বাংলার সব গ্যাস আমাদের। তিনি চেয়েছিলেন আমরা সম্পদ আহরণ করব, উত্তোলন করব ও নিজস্ব সম্পদে স্বয়ম্ভর হবো।
ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার পদক্ষেপ তিনি নিলেন। তিনি চেয়েছিলেন গতানুগতিক প্রশাসন কাঠামো, ঘোরটোপ ও দীর্ঘ সুত্রিতামুক্ত মেধা ভিত্তিক এবং বিষয় ও জ্ঞান ভিত্তিক প্রশাসন ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা। তিনি প্রতিষ্ঠা করলেন Petro Bangla এবং Bangladesh Mineral Corporation. সচিবের পদমর্যাদায় নিয়োগ দিলেন চেয়ারম্যান হিসাবে দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলী।
আপাতদৃষ্টিতে ক্ষুদ্র পদক্ষেপ কিন্তু গভীরের উপলব্ধিজাত বিশাল পদক্ষেপ যা হতে পারে আধুনিক, সচল, সংস্কারবান্ধব, সৃজনধর্মী প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা প্রবর্তনে গবেষণামূলক চিন্তা ভাবনায়-Turning of the handle.
রাজনীতির সবচেয়ে জটিল সমস্যা “দূরত্ব মোচন”-মানুষে মানুষে, অঞ্চলে অঞ্চলে, সম্ভবনা এবং সম্ভবনায়। তিনি অনুধাবন করেছিলেন ইস্পিত বাংলাদেশ গঠনে সুতিকাগার হতে হবে তৃণমূল থেকে উত্থিত সক্ষমতা, দেশপ্রেম, সৃজনশীলতা, জ্ঞান চর্চার বিকাশ ও সঠিক উপলব্ধি। তিনি গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে থাকা অবহেলিত ৩৭ হাজার বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এক কলমের খোঁচায় সরকারিকরণ করলেন তিনি অভুক্ত শিক্ষকদের দিলেন মর্যাদা, জীবিকার নিশ্চয়তা ও সুস্থ্য শিক্ষাদানে নিষ্ঠাবান হওয়ার স্বতস্ফূর্ততা। শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে গেলেন এক সেতুবন্ধে সীমানা অতিক্রম ও দুরত্ব জয়ের মূলস্রোতে।
১৯৭৪ এ বঙ্গবন্ধু প্রণয়ন করলেন সামুদ্রিক আইন ((Territorial waters and Maritime zone act-14 February 1974)) যা ছিল জাতিসংঘ কর্তৃক প্রণীত ও আরোপিত সামুদ্রিক আইন (United Nations Convention on the laws of the Sea-10 December 1982) এর বহু পূর্বে। গভীর দূরদৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করেছিলেন সুষ্ঠ-ব্যবস্থাপনা ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে অনন্ত সমুদ্র হতে পারে উদ্ভিজ, মৎস্য, প্রাণীজ, খনিজ, জ্বালানী, Hydrocarbon ইত্যাদি এর অফুরন্ত উৎস। তিনি ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সামুদ্রিক সীমারেখা সম্পর্কে সমঝোতায় উপনীত হলেন। সবই ছিল বঙ্গবন্ধুর গভীর অর্ন্তদৃষ্টি ও অসাধারণ দূরদৃষ্টির ফলশ্রুতি। কিন্তু ’৭৫ পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর এ যুগান্তকারী পদক্ষেপ সীমাহীন অবহেলা ও অজ্ঞতার কারণে গুরুত্ব পেল না। বঙ্গোপসাগর ভাগ হয়ে গেল মিয়ানমার ও ভারতের মধ্যে। আফগানিস্তান Land Locked Country- তদ্রুপ বস্তুত আমরা হয়ে গেলাম অবরুদ্ধ Sea Locked একটি দেশ।
জাতি কৃতজ্ঞ, দাবী উত্থাপনের সময়-সীমার শেষ প্রান্তে-অসীম প্রজ্ঞা ও সংকল্পে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্বরিৎ সময়োচিত পদক্ষেপ নিলেন। তাঁর দৃঢ়তা ও দিক নির্দেশনায় আমরা অবশেষে আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে ২০১৪-এ ফিরে পেলাম আমাদের সমুদ্র। বাংলাদেশ আর সমুদ্র-অবরুদ্ধ দেশ রইল না। প্রতিষ্ঠিত হলো অপার সমুদ্রের প্রাণীজ, মৎস্য, উদ্ভিজ, খনিজ, জ্বালানী, Hydrocarbon ইত্যাদির বিশাল ভান্ডারের উপর আমাদের মালিকানা। ১২০,০০০ বর্গকিলোমিটারে বিস্তৃত উপকূলীয় সাগর (Territorial Sea), অর্থনৈতিক অঞ্চল (Economic Zone) এবং মহীসোপান (Continental Shelf) এর উপর বাংলাদেশের দ্ব্যর্থহীন সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হলো। বাকী হতে পারে ইতিহাস-অনন্ত সম্ভাবনা, অর্জন ও অফুরন্ত সম্পদের।
আমরা জানি আমাদের সম্পদ অপ্রতুল। আমাদের জনসংখ্যা অধিক কিন্তু আমাদের অনেক চাহিদা ও স্বপ্ন। ছোট দেশ, ব্যাপক দারিদ্র্য, প্রয়োজনের তুলনায় সম্পদ কম। এ সমীকরণ জটিল ও সমাধান দুষ্কর। বর্তমানের দাবী-বাংলাদেশের জন্য সংবেদনশীল, বুদ্ধিদীপ্ত, দূরদর্শী সৃজনশীলতা সৃষ্টি ও ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন এবং আমাদের উন্নয়ন ও উপভোগ, সৃজিত সম্পদ আহরণ ও ব্যবহারের মধ্যে সৌষম্য ও সমন্বয় সাধন।
বঙ্গবন্ধু ১. সংবিধান, ২. দেশময় শিক্ষা, ৩. দেশীয় সম্পদ আহরণ, ৪. স্বাধীনতার অদম্য প্রেরণা ও ৫. সারা দেশব্যাপী সমতার ভিত্তিতে “One Bangladesh” নির্মাণ-এই ৫ (পাঁচ) স্তম্ভের উপর বাংলাদেশের ভিত্তি রচনা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন মানুষে মানুষে, অঞ্চলে অঞ্চলে, সম্ভবনা সম্ভবনায় দূরত্ব হ্রাস-তিনি চেয়েছিলেন সত্যিকার অর্থে প্রাণোচ্ছল রাজধানী ও রাজধানীসম সমগ্র বাংলাদেশ- “One Bangladesh”।
কিন্তু রাষ্ট্রগঠনে ও পরিচালনায় বঙ্গবন্ধুর সময় ছিল সংক্ষিপ্ত। ৭৫ পরবর্তী ইতিহাস অন্ধকারের ইতিহাস এটা শুধু ক্ষমতা গ্রহণের ব্যাপার ছিল না। গণতন্ত্র ও দেশপ্রেমের বুলির মোড়কে স্বাধীনতা হরণের ইতিহাস।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নষ্ট অতীতের উপর দাঁড়িয়ে হিরম্ময় ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর রচিত ভিত্তির উপর যোগ করলেন-১. ডিজিটাল বাংলাদেশ-তৃণমূলে নিয়ে গেলেন বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানমনষ্কতা, ২. শিক্ষা ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও Technology এর অন্তর্ভূক্তি, ৩. নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী শিক্ষার ব্যাপক বিস্তার, ৪. দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি এবং ৫. সকলের জন্য গৃহায়ণ ও প্রতি গৃহকোণে স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা। এসব নিয়েই আজ আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বাংলাদেশের বাস্তবতা।
সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত বাংলাদেশের এককালের তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ, ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা, শঙ্কা ও তাচ্ছিল্যের দৃষ্টি আজ অপসৃত। আজ বাংলাদেশ বিশ্বসভায় সমীহ করার দেশ-এক উদীয়মান, মানবিক, শক্তিশালী ও স্বাচ্ছন্দের রাষ্ট্র।
সহস্র বৎসরপ্রসূত আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ ক্ষুধা, স্বাধীনতা সংগ্রামে অদম্য প্রেরণা ও প্রাপ্তির অভূতপূর্ব মহাক্ষণে আমরা চাই আমাদের নূতন প্রজন্ম সঠিক দর্শনে সঠিক পথে বেড়ে উঠুক-এক দিকে জ্ঞানী, নম্র, শিক্ষায় ব্রতী, অদম্য পরিশ্রমী, জীবন উপভোগের বিশ্বস্ত, যৌবন ও তারুণ্যে, আনন্দ ও উল্লাসে বিশ্বাসী, স্বাস্থ্যবান ও সুন্দর ও করুনায় চর্চিত আবার অপর দিকে প্রয়োজনে সব উপভোগ ঠেলে ফেলে জীবন বিসর্জনে অর্পিত ও কঠোর-যা দেখেছি ’৭১ এ। জীবন উপভোগ ও জীবন বৈরাগ্যের এক অপূর্ব সম্মিলন বাঙালির জীবনে হোক আরোও স্পষ্ট, সত্য ও অমোচনীয়।
বাংলাদেশ আজ Production Possibility Frontier এ দাঁড়িয়ে আছে। উৎপাদনের সীমারেখার শেষ প্রান্তে আমরা যেতে চাই। সম্ভাবনা আমাদের অনন্ত ও অসীম। জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে আমরা জয় পেয়েছি। We are standing at the threshold. Take off stage এ আমরা উপনীত।
Vision 2041 আমাদেরকে হাতছানি দিচ্ছে। কিন্তু আমরা Challenges এর মুখোমুখি। Gross National Income এবং মাথাপিছু আয়ের স্থিতি এবং ক্রমবৃদ্ধির ধারা সচল রাখতে হবে।
প্রয়োজন Human Asset Index Development. শুধুমাত্র কয়েকটি দেশের উপর নির্ভরশীলতা ও অদক্ষ শ্রমিক রপ্তানীর উপর নির্ভর করা যাবে না। দেশের সার্বভৌমত্বও নির্ভর করে Dependency Relationship হ্রাস ও খর্ব করার সক্ষমতার উপর।
৮০% পোশাক-শিল্প নির্ভর রপ্তানীর বদলে Diversification of Exports এবং Expansion of Investments দিকে অগ্রসর হতে হবে। ঝড়, বৃষ্টি, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ইত্যাদি Venerability of Nature প্রতিরোধে আমাদের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
তাছাড়া সতর্ক থাকতে হবে-প্রবৃদ্ধির উচ্চধারা সমাজে আয় ও সম্পদে দৃশ্যমান অসমতা সৃষ্টি করলে; অস্থিরতা, অর্থপাচার, যথেচ্ছাচার উপভোগের প্রবণতা সৃষ্টি হতে পারে। সর্বস্তরে উপরে যাওয়ার উদগ্র প্রতিযোগিতা ও সব পাওয়ার জন্য Rat-race সমাজের অস্থিরতা ও নৈতিকতার ভারসাম্যকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
বাংলার মানুষ দরিদ্র ও অসহায়। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং মুজিববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার তাদের সেবাই হবে আমাদের ব্রত। আমরা ‘সহজ’ কে ‘জটিল’ করব না এবং ‘জটিল’ কে ‘সহজ’ করব-এ হবে আমাদের প্রতিশ্রুতি। কাজের সাথে আনন্দ, দক্ষতা, বিশ্বস্ততা, জ্ঞানের অনুশীলন ও বাঙালির অন্তশ্রাবী বীরস্রোত সব মিশেল দিয়ে আসুন আমরা সকলে মিলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের হিরণ্ময় বাংলাদেশ রচনা করি।
এইচ এন আশিকুর রহমান এমপি
সভাপতি-জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি
ও
কোষাধ্যক্ষ-বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।