করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) থেকে খুলছে দেশের সকল পর্যটনকেন্দ্র। ফলে হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, সরকারি-বেসরকারি পর্যটনকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে জড়িত মানুষদের মধ্যে চাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করেছে। তবে পর্যটকসহ সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর সারাদেশ থেকে পর্যটকরা হোটেল-মোটেলে আগাম বুকিং দিচ্ছেন। তাদের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।
পর্যটনকেন্দ্র খোলার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা। তবে মাস্ক পরিধান ছাড়া পর্যটনকেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না এবং পর্যটকদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার বিষয়ের মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, এমন কোনো কাজ করা যাবে না যাতে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে আবার এই খাত বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে প্রতিটি পর্যটনকেন্দ্র, হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে সরকারি প্রজ্ঞাপনে নির্ধারিত নিয়ম মেনে চলতে হবে। পর্যটন কেন্দ্রে সবাইকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, এর কোনো ব্যত্যয় হবে না।
সবার উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের পর্যটনকেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পর্যটকদের উদ্বুদ্ধ করতে ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। সবার মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পর্যটকদের সচেতন করতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবক, স্কাউটসহ অন্যান্যদের সম্পৃক্ত করে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট সঠিকভাবে নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।
এদিকে আজ থেকে ফের পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হবে পাহাড়। বান্দরবান জেলার নীলগিরি, নীলাচল, মেঘলা, চিম্বুক, স্বর্ণমন্দির, রামজাদীসহ পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল নামবে। ইতোমধ্যে জেলার হোটেল-মোটেলসহ পর্যটনকেন্দ্রের আশপাশের রেস্টুরেন্ট, বিপণিবিতানগুলো খোলার প্রস্তুতি নিয়েছে। পর্যটনকেন্দ্রে পরিচ্ছন্নতা শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। পর্যটন কেন্দ্রসমূহের প্রবেশ মুখে থাকবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। সাবান দিয়ে পর্যটকদের হাত জীবাণুমুক্ত করতে হবে। অসুস্থ অবস্থায় পর্যটনকেন্দ্রে ভ্রমণ করা যাবে না। দীর্ঘদিন পর বিনোদনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ায় করোনার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পর্যটকদের বরণে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে রাঙামাটির হোটেল-মোটেলগুলো। পর্যটকদের আগমন ঘিরে নিরাপদ ভ্রমণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন পর্যটন ব্যবসা সংশ্লিষ্টরাও।
যান্ত্রিক জীবনের একটু ক্লান্তি দূর করতে বিনোদনের খোঁজে মানুষ ছুটে আসছেন পাহাড় ও হ্রদঘেরা মনোরম প্রাকৃতিক লীলাভূমি রাঙামাটিতে। কিন্তু টানা দীর্ঘদিন পর্যটকশূন্য থাকায় মারাত্মক মন্দা দেখা দেয় পর্যটন ব্যবসায়।