প্রতি বছর হজে বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে। হজের মৌসুমে অনিয়ম পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরও হজের সময় নানা অনিয়মের ঘটনা ঘটে। টাকা দিয়েও হজে যেতে পারেননি ৬০৬ জন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ হজ এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল ও জরিমানা করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
ভুক্তভোগীদের মতে, টাকা দিয়ে হজে না যেতে পারা, চুক্তি অনুযায়ী বাসা না দেওয়া ও খাবারের কষ্টসহ বিভিন্ন অনিয়মের শিকার হন হজযাত্রীরা।
তথ্যমতে, গত বছর বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ১৫টি এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল, জামানত বাজেয়াপ্ত ও জরিমানা করা হয়েছে। এজেন্সিগুলো হলো: এয়ার চ্যানেল ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনাল, সানজিদ ট্রাভেল ইন্টারন্যাশনাল, সালওয়া ওভারসিজ সার্ভিস, মৌওরি এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, আবাবিল ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুর, কেরানীগঞ্জ হাজি ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, সামিট এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, গোল্ডেন ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, এমএএম ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, মাহরুর এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, মাকাম ইব্রাহিম ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, পটুয়াখালী ট্রাভেলস এয়ার সার্ভিস, ট্রাভেলস নুরাম হাউজ ও কে.জি. প্রগতি এয়ার সার্ভিস।
এদিকে প্রাথমিকভাবে আরও তিনটি এজেন্সিকে শাস্তির আওতায় আনা হলেও চূড়ান্ত রিভিউ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তা বাতিল করা হয়েছে। এগুলো হলো আলহাজ ট্রাভেল ট্রেড, সেন্ট্রাল ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরস ও আল রাফি ট্রাভেল ট্রেড।
উল্লেখ্য, গত বছর হজ এজেন্সির বিভিন্ন অবহেলায় ও অনিয়মের কারণে ৬০৬ জন যাত্রী হজে যেতে পারেননি। তার আগের বছরও অর্থাৎ ২০১৭ সালে এক হাজার ৩০০ জন যাত্রী হজে যেতে পারেননি। গেল বছর রাজধানীর আশকোনায় হজক্যাম্পে শেষ হজ ফ্লাইট উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হাবের মহাসচিব বলেন, কিছু এজেন্সির প্রতারণার কারণে যে ৬০৬ জন এ বছর ভিসা করতে পারেননি এবং হজে যেতে পারলেন না হাব তাদের পাশে থাকবে। এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আল্লাহর মেহমানদের সঙ্গে প্রতারণা করা কোনো এজেন্সিকে ছাড় দেওয়া হবে না।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ৭৯৮ জন সৌদি আরবে হজ পালন করতে যাবেন। তাদের মধ্যে ৬৩ হাজার ৫৯৯ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে এবং বাকিরা যাবেন সৌদি এয়ারলাইনসে। ৪ জুলাই থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে।