বুধবার, ৬ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

১২ অক্টোবর থেকে মা ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞা শুরু

প্রকাশঃ

আগামী বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে ইলিশের প্রজনন মৌসুম সুরক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। তবে ভরা মৌসুমের শেষ মুহূর্তেও উপকূলে ইলিশের নাগাল না পেয়ে হতাশ ভোলার জেলেরা। তারওপর ঋণের টাকা এখনও পরিশোধ হয়নি। বন্ধের সময় পরিবার নিয়ে কীভাবে দিনগুলো পার করবেন এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন জেলেরা।

জানা গেছে, ১২ অক্টোবর থেকে ইলিশ ধরা, ক্রয় বিক্রয়, পরিবহন, মওজুদ, সব কিছু নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কেউ অমান্য করলে জেল জরিমানারও বিধান রয়েছে। আর নিষেধাজ্ঞার আগে আরও দুদিন মাছ ধরার সুযোগ রয়েছে। এটাকে কাজে লাগিয়েই জেলেরা শেষ সময়ে সাগরে যাচ্ছেন ইলিশ ধরতে।

সরেজমিনে চরফ্যাশনের সামরাজ, ইলিশা ও শিবপুর মাছ ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, জেলের নৌকায় স্তূপ করা রয়েছে ইলিশসহ বিভিন্ন জাতের মাছ। নৌকা ঘাটে ভিড়তেই জেলেরা ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন ইলিশ দ্রুত বাজারে সরবরাহ করতে।

ভোলা সদর উপজেলার জেলে কাদের, ফখরুদ্দিনসহ কয়েকজন জেলের অভিযোগ, এখনো কোনো সরকারি সহায়তা পাইনি। মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় ইলিশের দেখা মিললেও দুদিন পরই শুরু ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। মাথায় ঋণের বোঝা নিয়ে বেকার থাকতে হবে। সময়মতো খাদ্য সহায়তা সরবরাহেরও দাবি জানান ওই জেলেরা।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, দুই মাস আগ থেকেই তারা ঘাটে ঘাটে সচেতনতামূলক প্রচার- প্রচারণা চালিয়েছেন। জেলার ১৩০টি ঘাটে জেলেদের নিষেধাজ্ঞার ২২দিন নদীতে নামতে দেয়া হবে না। এ জন্য তারা আইনশৃঙ্খলারক্ষা বাহিনীর সহায়তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন।

সরকারি খাদ্য সহায়তার জন্য জেলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা এক লাখ ৩৪ হাজার। এর বাইরেও, অনিবন্ধিত জেলে রয়েছেন আরও ৫০ হাজার বলে জানান তিনি।

বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অফিসের হিসাব অনুসারে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় অভয়াশ্রমের জেলাগুলো হলো: বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, শরীয়তপুর ও লক্ষ্মীপুর।

এ ছাড়াও, ৩১ জেলার ১৫৫ উপজেলার অংশ বিশেষ এই নিষেধাজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

শেয়ার করুনঃ

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ