সোমবার (০১ নভেম্বর) থেকে রাজধানী ঢাকায় ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকা দান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে ১২ বছরের কম বয়সীদের এখনই টিকা দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এ কার্যক্রম শুরু করা হবে। আপাতত রাজধানীর আটটি স্কুলকে টিকাদান কার্যক্রমের জন্য ক্লাস্টার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ আট কেন্দ্রে প্রতিদিন ৫ হাজার করে ৪০ হাজার শিশুকে টিকা দেওয়া হবে। সেই হিসাবে একটি কেন্দ্রে দৈনিক ৫ হাজার শিশুকে দেওয়া হবে।
সোমবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকা কর্মসূচি উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন : সারা দেশে প্রতি মাসে তিন কোটি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হবে
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে কোনো সংকট নেই। তাদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এ টিকার ৯৬ লাখ ডোজ আমরা হাতে পেয়েছি। এর মধ্যে ১৪ লাখ ডোজ দেওয়া হয়েছে। হাতে থাকা ৮২ লাখ ডোজ শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে। আরও বেশকিছু টিকা পাইপলাইনে রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, তারা আগামীতে ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেবে। সেগুলো দিয়ে পর্যায়ক্রমে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিশুদেরও টিকা দেওয়া হবে। সারাদেশের সব শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার জন্য তিন কোটি ডোজ টিকা প্রয়োজন হবে।
এ সময় সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, ফাইজারের টিকা সংরক্ষণের জটিলতা কেটেছে। আগের তুলনায় দ্বিগুণ আল্ট্রা লো ফ্রিজার (অতি সংবেদনশীল) আছে। তাই, গ্রামেও দিতে পারব বলে আমরা বিশ্বাস করি।