ঢাকার সব কূটনীতিক, মন্ত্রী, সচিব, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা প্রটোকলে আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত ও সৌদি আরবসহ যে ছয় দেশের রাষ্ট্রদূত অতিরিক্ত পুলিশি নিরাপত্তা পেতেন তা-ও সরিয়ে নেওয়া হবে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক এ তথ্য জানিয়েছেন।
গোলাম ফারুক বলেন, ‘দেশের মন্ত্রী, সচিব, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের প্রটোকলের জন্য আনসার বাহিনী থেকে একটি প্রটোকল ইউনিট করা হয়েছে। তারাই এখন প্রটোকলের দায়িত্ব পালন করবে। দেশের মন্ত্রী, এমপিদের যারা প্রটোকল দিয়ে থাকে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ সব কূটনীতিকেরও তাঁরা প্রটোকল দেবেন।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘প্রটোকলে আনসার সদস্যরা থাকলেও রাজধানীর গুলশান-বারিধারা কূটনৈতিক জোনে ডিএমপির ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগের পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।’
গোলাম ফারুক বলেন, ‘সবাই সমান প্রটোকল পাবেন। তবে কারও পুলিশের সহযোগিতার প্রয়োজন হলে আমরা অবশ্যই তাঁদের পাশে থাকব।’
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘বিশেষ পরিস্থিতিতে ছয় দেশের রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি নিরাপত্তা সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। দেশের পরিবেশ এখন শান্ত। বাড়তি এই সুবিধার আর প্রয়োজন নেই।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে এতো অশান্তি নাই যে আপনাকে রাস্তায় গুলি করে মেরে ফেলবে। আমাদের দেশে আমরা কয়েকজনকে দেই। এখন সবাই চায়। তাই বলেছি আমরা এটা উইথড্র করলাম।’ অবশ্য কোনো দূতাবাস চাইলে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে এ সুবিধা নিতে পারবেন বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, দেশে জঙ্গি হামলা হওয়ার পর থেকে রাজধানীর কূটনৈতিক জোনের নিরাপত্তার জন্য ডিএমপি আলাদা ইউনিট গঠন করে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত, জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বাড়তি প্রটোকল পেতেন। তবে সেই পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে বলে প্রটোকলেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। তা ছাড়া আনসারের প্রটোকল ইউনিট এখন থেকে এই দায়িত্ব পালন করবে। কারণ, প্রটোকলের জন্য ডিএমপির কয়েক হাজার পুলিশ সদস্য রাখতে হয়। এই জায়গা থেকেও ডিএমপি সরে আসতে চাচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।