২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে এক হাজার ৭৯ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে দেশে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল এক হাজার ৪৯ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে ৩০ কোটি ৫২ লাখ ডলার বেশি এসেছে।
প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় গত ৬ মাসে প্রবাসী আয় এসেছে প্রায় এক লাখ ১৮ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা। যা গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ের (প্রথম ৬ মাস) চেয়ে ৩ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে এসেছিল এক লাখ ১৫ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার প্রবাসী আয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসী আয় আসে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। পরের মাস আগস্টে এসেছিল প্রায় ১৬০ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরে আসে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ লাখ ডলার। অক্টোবরে আসে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি ডলার এবং সবশেষ ডিসেম্বর মাসে আসে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার।
গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৪৯ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে ৩০ কোটি ৫২ লাখ ডলার বেশি এসেছে। তবে গত অর্থবছরের প্রথম ও দ্বিতীয় মাসে অর্থাৎ জুলাই এবং আগস্টে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছিল। অন্য মাসগুলোতে দেড় বিলিয়ন বা তার কাছাকাছি রেমিট্যান্স আসে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে এসছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার ডলার। দ্বিতীয় মাস আগস্টে এসেছিল ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার। পরের মাস সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার, অক্টোবরে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ, নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ৫১ লাখ এবং ডিসেম্বরে এসেছিল ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছেন, সদ্য বিদায়ী ডিসেম্বরে আসে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২১ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা। আলোচ্য মাসে দিনে গড়ে এসেছে ৬ কোটি ৪১ লাখ ডলার বা ৭০৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ডিসেম্বরে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৯ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের (বিকেবি) মাধ্যমে এসেছে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৭২ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫২ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
আলোচ্য সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৮টি। এর মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, বিদেশি খাতের ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন দুই হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।