কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। গণস্বাক্ষরতা অভিযান পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায়, ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী দ্রুত ক্লাসে ফিরে যেতে চায়।
তবে সংস্থা দুটির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়িয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার ধাপে ধাপে খুলতে পারে। যাতে পরবর্তী ধাপে ভুলগুলো শুধরে নিতে পারে।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে ভার্চুলায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এডুকেশন ওয়াচ ২০২০-২১ সমীক্ষার অন্তবর্তীকালীন খসড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। দেশের ৮টি বিভাগের ৮টি জেলা থেকে নির্ধারিত সূচকের ভিত্তিতে নমুনা নির্বাচন করে গবেষণার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বিদ্যালয় পুনরায় খুলে দেওয়া প্রসঙ্গে আরও বলা হয়, ৭৬% অভিভাবক দ্রুত স্কুল খুলে দেওয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছেন। আরও ৭৩% জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্কুল খুলে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। তাছাড়া ৮০% এনজিও কর্মকর্তা একই মনোভাব ব্যক্ত করেছেন।
এছাড়া ৫৮% শিক্ষক ও ৫২% উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সর্তকতার সঙ্গে স্কুল খুলে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। আর ৮২ শতাংশ শিক্ষক স্কুল খুলে দেওয়ার আগে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি-মাস্ক ব্যবহার, স্যানিটাইজার ও সামাজিক দূরত্ব বিষয়টির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
৭৯.৭ শতাংশ শিক্ষক বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার আগে স্কুল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টির ওপর অধিকতর গুরুত্বারোপ করেছেন; ৯০.৭ শতাংশ শিক্ষক মনে করেন শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অভ্যাস তৈরিতে অভিভাবকগণ তাদের সচেতন করবেন।
অনুষ্ঠানে গণসাক্ষরতা অভিযানের পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে. চৌধুরী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলার ব্যাপারে আমরা নির্দ্দিষ্ট কোন সময়সীমা বেঁধে দিচ্ছি না। সরকারকে ধাপে ধাপে সক্ষমতা অর্জন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে হবে। যাতে পরবর্তী ধাপে ভুলগুলো শুধরে নিতে পারে। সবার সুরক্ষা নিশ্চিত এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে হবে।