৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ১২ দিকে আজিমপুরে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (নিপোর্ট) ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার যেমন সফল হয়েছে, ভ্যাকসিন প্রয়োগেও তেমনি সফল হবে। করোনা টিকা নিয়ে গুজবে কান না দিতেও আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, যাদের দরকার তারাই আগে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন পাবে।
উল্লেখ্য, আজ বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের উপহার দেওয়া করোনার টিকার ২০ লাখ ডোজ ঢাকায় পৌঁছায়। এসময় বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে সেগুলো গ্রহণ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
তিনি জানান, আগামী ২৭ অথবা ২৮ জানুয়ারি ২৫ জনকে করোনা টিকা দিয়ে বাংলাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। এই ২৫ জন হবেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এই টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হতে পারে। এরপর ৪০০-৫০০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেওয়া হবে। তাদের এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করার পর ৮ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী টিকা কার্যক্রম শুরু হতে পারে। কুর্মিটোলা, কুয়েত মৈত্রী, মুগদা ঢাকা মেডিক্যালের স্বাস্থ্যকর্মীদের পরীক্ষামূলক টিকা দেওয়া হবে। কোন বেসরকারি হাসপাতালে টিকা দেওয়া হবে না।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, সরকারি হাসপাতালের বাইরে কোন টিকা কেন্দ্র থাকবে না। সার্বিকক কার্যক্রম সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। প্রথম মাসে ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হবে। কেনা ৫০ লাখ ও উপহারের ২০ লাখ ডোজের মধ্যে থেকে। ২য় মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হবে। ফেব্রুয়ারিতে যারা টিকার প্রথম ডোজ নিবেন তারা এক মাসপর ২য় ডোজ পাবেন।