করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সবাইকে অযথা মুখ, নাক ও চোখে হাত না দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কারণ করোনাভাইরাস প্রথমে হাতে অতঃপর মুখ, নাক ও চোখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। এ কারণে মুখে হাত দেয়ার বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা জানিয়েছে বিশ্বের সব চিকিৎসকরা।
তবে বললেই কি আর মানুষ তা পারে? কেন আমরা অজান্তেই আমাদের মুখমণ্ডল স্পর্শ করি? এবং এই অভ্যাস কীভাবে দূর করা যায়? পরামর্শ দিয়েছেন ব্রিটিশ মনোবিজ্ঞানী নাতাশা তিওয়ারি।
তিনি বলেছেন, আমরা কেউই মুখ স্পর্শ না করে থাকতে পারি না। মনে মনে যতই নিজেকে সাবধান করুন না কেন কোনো না কোনো সময় আপনি মুখ স্পর্শ করবেনই। এটি আমাদের সবারই সহজাত প্রবৃত্তি। আমরা মুখমণ্ডলের এমন সব স্থানে স্পর্শ করি যা আমাদের প্যারাসিম্প্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্র উজ্জীবিত করে। এতে করে আমরা নিজেকে শান্ত ও উত্তেজনা কমাতে পারি।
করোনাভাইরাসের প্রভাবে পুরো বিশ্ব আজ থমথমে। বর্তমান ঝুঁকির কারণে মুখমণ্ডল স্পর্শ করাটাও বেশ চিন্তার কারণ। এতে করে ভাইরাস সহজেই প্রবেশ করতে পারে হাত থেকে। তবে আপনি জানলেও কি মুখে হাত না দিয়ে থাকতে পারছেন? এসময় আরো বেশিবার হয়ত আপনি মুখ স্পর্শ করছেন তাও আবার নিজের অজান্তেই।
একেবারেই মুখ স্পর্শ বন্ধ করা প্রায় অসম্ভব। তবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে হলে কিছু অভ্যাস গড়তে হবে। গবেষক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা চোখেমুখে হাত দেওয়া বন্ধে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে প্রথম পরামর্শ হিসেবে বসে বা শুয়ে থাকার সময় দুই হাতের আঙুল মুষ্টিবদ্ধ করে রাখা। মুষ্টিবদ্ধ থাকা অবস্থাতেই কথা বলা বা হাঁটা-চলার চেষ্টা করা। এ ধরনের অবস্থায় অনেক সময় হাতের মুষ্টি ছুটে যেতে পারে। ফলে কিছুক্ষণ পরপর দুই হাত নাড়ানো। দুই হাত ছেড়ে দিয়ে কিছুক্ষণ পর আবারো মুষ্টিবদ্ধ করে রাখা।
দ্বিতীয় পরামর্শ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা চোখে চশমা দেওয়ার কথা বলছেন। এতে চোখে আঙুল চলে গেলেও বাধা আসবে। সারাদিন চোখে চশমা পড়ার অভ্যাস করলে চোখে হাত দেওয়ার অভ্যাস ধারাবাহিকভাবে কমে আসবে।
তৃতীয় পরামর্শ হিসেবে মুখে মাস্ক ব্যবহার করার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে হাতে থেকে মুখের মধ্যে ভাইরাস প্রবেশ করবে না।