করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫১ জন। আর মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ১৯ জনে। আক্রান্তের দিক দিয়ে সবার উপরের স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
করোনায় মৃত্যুর দিক দিয়ে এগিয়ে আছে ইতালি। দেশটিতে ১০ হাজার ২৩ জন মারা গেছেন। এর পরের স্থানে রয়েছে স্পেন। দেশটিতে ৫ হাজার ৯৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৩ হাজার ২৩৫ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৫০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ২ হাজার ২২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনায় প্রাণহানিতে চীনকে অনেক আগেই ছাড়িয়ে গেছে ইতালি এবং স্পেন। ফ্রান্সের অবস্থাও বেশ নাজুক। মৃত্যু ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটি। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৩১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী মারা গেছে। ফ্রান্সে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১৪ জনে।
ইউরোপের প্রায় সব দেশ লকডাউন। যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেকের বেশি মানুষ ঘরবন্দী। এরকম লকডাউন চলছে এশিয়া ও আফ্রিকাসহ অন্যানা মহাদেশেও। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আর স্বাস্থ্যমন্ত্রীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের উত্তরাধিকার প্রিন্স চার্লসও।
এশিয়ার অবস্থাও নাজুক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে এশিয়াকে সতর্ক করে দিয়েছে। ইরানের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। গেল ২৪ ঘণ্টায় ১৩৯সহ সেখানে মৃত্যু হয়েছে আড়াই সহস্রাধিক মানুষের। প্রতিদিন আরও হাজার হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে।
ব্যাপকভাবে বিস্তার ছড়ানো দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে জার্মানির নামও। দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭ হাজার ৬৯৫ জন। তবে আক্রান্তদের মধ্যে ৪৩৩ জন মারা গেছেন। যা ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৮২ জনের মৃত্যু হওয়ার পর আশঙ্কা করা হচ্ছে সেখানেও মহামারি আকার ধারণ করবে করোনা।
যুক্তরাজ্যে করোনায় গেল ২৪ ঘণ্টায় ২৬০ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে করোনায় সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে নেদারল্যান্ডসে কোভিড-১৯ রোগে ৬৩৯ জন মারা গেছেন। এরমধ্যে গেল ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৯৩ জনের।
বেলজিয়ামে ৩৫৩ এবং সুইজারল্যান্ডে করোনায় ২৬৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। শতাধিক মৃত্যু হয়েছে ইউরোপের আরও অনেক দেশে।
প্রতিবেশী ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছুঁই ছুঁই। দেশটিতে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ২৪ জন মারা গেছেন। করোনার বিস্তার ঠেকাতে ২১ দিন দেশ লকডাউন করে রেখেছে মোদি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। পাকিস্তানে আক্রান্তের প্রায় ১৫শ পেড়িয়েছে। মারা গেছেন ১২ জন।
বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮; এরমধ্যে ৫ জন মারা গেছেন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ১৫ জন। চিকিৎসা চলছে ২৮ জনের।