দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯ জনে। ভাইরাসটি থেকে সুস্থ হয়েছেন মোট ১৯ জন।
আজ সোমবার (৩০ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নতুন আক্রান্ত রোগী একজন নারী। তার বয়স ২০-এর কোঠায়। গত ২৪ ঘণ্টায় হটলাইনে ফোন এসেছে ৪ হাজার ৭২৪টি। এর মধ্যে করোনা সংক্রান্ত কল এসেছে ৩ হাজার ৯৯৭টি। আর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫৩টি। সর্বমোট ১ হাজার ৩৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, করোনা আক্রান্ত ৪৯ জনের মধ্যে আরও চার জনের শরীরে সংক্রমণ আর নেই। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ৮০ বছর। আরও দুজনের বয়স ৬০-এর বেশি। তার মানে বয়োজ্যেষ্ঠ হলেই ঝুঁকিপূর্ণ এমন নয়। চার জনের মধ্যে দু’জন বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিয়েছেন। তিন জনের বিভিন্ন রোগ ছিল। এই চার জনের মধ্যে একজন চিকিৎসাকর্মী ছিলেন। সব মিলিয়ে ১৯ জন করোনামুক্ত হয়েছেন।
ডা. মীরজাদী বলেন, এক জায়গায় ৩৬ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ছিল। তাদের কারও শরীরে করোনাভাইরাস না পাওয়া না যাওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সারাদেশে এখনও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩২ জন। আর ৬২ জন আছেন আইসোলেশন। সব মিলিয়ে আইসোলেশনে আছেন ২৬২ জন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এমআইএস বিভাগের পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান।
হাবিবুর রহমান বলেন, দেশে ৫৫ হাজার মানুষ এখন কোয়ারেন্টিনে। কোয়ারেন্টিন মুক্ত করা হয়েছে ২৯ হাজার। বাকিরা এখনও আছেন। ঢাকা শহরে ৮টি সরকারি হাসপাতাল করোনা চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত।
ব্রিফিংয়ের শুরুতে বিশ্ব পরিস্থিতি তুলে ধরেন ডা. ফ্লোরা। তুলে ধরেন করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে ঘরে থাকাসহ প্রয়োজনীয় করণীয়ও।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। এর পর দিনে দিনে সংক্রমণ বেড়েছে। সবশেষ হিসাবে করোনায় বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯, মারা গেছেন ৫ জন। এ ছাড়া সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৯ জন।