ব্রিটেনের আরও ২১৩ নাগরিক ঢাকা ত্যাগ করেছেন। রবিবার বিকেলে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তারা দেশে ফিরে যান। এছাড়া ভারতের মুম্বাই ও কলকাতা থেকে দুই শতাধিক বাংলাদেশীকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুটি ফ্লাইটে তাদের ফিরিয় আনা হয়। রবিবার মুম্বাই থেকে ১৬২ আসনের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং কলকাতা ৭৪ আসনের ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজে এসব বাংলাদেশী দেশে ফেরেন। বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে মুম্বাই থেকে ১১২ জন ও এবং বিকেল ৪টার দিকে কলকাতা থেকে ৫৯ যাত্রী নিয়ে দুটি পৃথক উড়োজাহাজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ উদ্দেশে রওনা হয়। নির্ধারিত সময়ে দুটি ফ্লাইটই অবতরণ করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
এ বিষয়ে বেবিচক সূত্র জানায়, সকালে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে সিলেট থেকে ঢাকায় আসেন ১৪৪ ব্রিটিশ যাত্রী। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তারা সিলেট ত্যাগ করেন। দুপুরে তারা ঢাকা পৌঁছান। বাকিরা ঢাকা থেকে যোগ দেন।
এছাড়া মঙ্গলবার ৫ মে দিল্লী থেকে আরও একটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। এর আগে গত ১ মে কলকাতা-ঢাকা, ২ মে দিল্লী-ঢাকা রুটে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করেছে বিমান। জানা গেছে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক যাত্রী পাওয়া সাপেক্ষে ভারতের বিভিন্ন শহর থেকে আরও কিছু বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। অন্যদিকে চেন্নাই থেকে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স। দ্বিতীয় দফায় আটকে থাকা বাকি বাংলাদেশী নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে ফ্লাইট পরিচালনা করছে বেসরকারী বিমান সংস্থাটি। যারা ফিরেছেন তাদের সবার করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। হজ ক্যাম্পে স্ক্রিনিংয়ের পর তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিক বা হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ২৫ মার্চ থেকে লকডাউনে পুরো ভারত সব যোগাযোগ বন্ধ। এরপর চিকিৎসা ও ব্যবসাসহ বিভিন্ন কাজে ভারতে যাওয়া বাংলাদেশীদের একটি অংশ বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরলেও কলকাতা, চেন্নাইসহ বিভিন্ন রাজ্যে আটকা পড়েছেন কয়েক হাজার। হাতে থাকা অর্থ ফুরিয়ে যাওয়ায় থাকা-খাওয়া নিয়ে সঙ্কটে পড়েছেন অনেকে। দেশে ফেরার ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশ দূতাবাসে আবেদন করেন তারা। ৫ মে পর যদি আরও বাংলাদেশী বাকি থেকে তাদেরও আনার জন্য বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান।