প্রতিদিনই ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ায় স্বরূপে ফিরছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। লকডাউনের মাঝেও বুধবার কয়েকটি ফ্লাইট ওঠানামা করেছে। স্পেশাল ফ্লাইট ছাড়াও কার্গো ফ্লাইট চালু করেছে এমিরেটস এয়ারলাইন্স। আগামী সপ্তাহে আরও একটি এয়ারলাইন্স কার্গো চালু করতে যাচ্ছে। বেবিচক জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহেল কামরুজ্জামান জানিয়েছেন- বুধবার কুয়েত, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর থেকে প্রায় ৯০০ যাত্রী আসা যাওয়া করেছে। বিলম্বিত ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন কুয়েতের বন্দী শিবিরে আটকে পড়া তিন শতাধিক যাত্রী।
বেলা এগারোটায় এয়ারইন্ডিয়ার একটি স্পেশাল ফ্লাইটে ঢাকায় বসবাসরত ভারতের ১৬৯ নাগরিক শ্রীনগরের উদ্দেশে বিমানবন্দর ত্যাগ করে। তারা সবাই কাশ্মীরী। এদের মাঝে রয়েছে শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবী।
দুপুর ১২টায় মালিন্দো এয়ারের ফ্লাইটে ৭০ মালয়েশিয়ান নাগরিক ঢাকা ত্যাগ করেন। তাদের বেশিরভাগই ব্যবসায়ী। বিকেলে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ১৫ জন সিঙ্গাপুরের নাগরিক দেশে ফিরে গেছেন। তাদের বেশিরভাগই ছিলেন ঢাকায় বসবাসরত ব্যবসায়ী।
একইভাবে দেশে ফিরে এসেছেন নয় শতাধিক বাংলাদেশী। মালয়েশিয়া থেকে ফিরেছেন ১৭৮ বাংলাদেশী। তারা আসেন মালিন্দোর স্পেশাল ফ্লাইটে।
এরপরই আসে সিঙ্গাপুর থেকে আরও ২২০ বাংলাদেশী। বাংলাদেশীরা করোনার ভয়ে সিঙ্গাপুর ছেড়ে ঘরে ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন কজন যাত্রী। বিকেলে আসেন চেন্নাইয়ে আটকে পড়া ১৬৪ যাত্রী। ইউএস বাংলার একটি স্পেশাল ফ্লাইিটে তাদের আনা হয়। তারা সেখানে চিকিৎসা করতে গিয়ে আটকা পড়েন।
এছাড়া আগের রাতে দেশে ফিরে আসেন কুয়েতের বন্দী শিবিরে আটক তিন শতাধিক বাংলাদেশী। জাজিরা ও কুয়েত এয়ারের দুটো পৃথক ফ্লাইটে তারা দেশে ফিরেন। প্রায় দেড় মাস সেখানকার ক্যাম্পে আটকে পড়া অবস্থায় তারা দেশে ফেরার জন্য সেখানে বিক্ষোভ করেন। এছাড়া অনাহারে অর্ধাহারে মারা গেছেন দুই বাংলাদেশী। বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ উদ্যোগে তাদের ফিরিয়ে আনা হয়।
এ বিষয়ে হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছেÑ বিদেশ থেকে আগত যাত্রীরা সবাই ছিলেন সুস্থ। তারা সবাই স্বাস্থ্য সনদ নিয়েই ফ্লাইটে ওঠেন এবং দেহের তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিক। সেজন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের পরিবর্তে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।