ব্যক্তিগত গাড়ি ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করে। অ্যাপভিত্তিক এ রাইডশেয়ারিং করোনা ঝুঁকিতে বন্ধ ছিল। সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবির মুখে গত ২১ জুন থেকে পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে বিআরটিএ। এবার মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনের অনুমতি মিলছে। গতকাল বিআরটিএতে এ সংক্রান্ত চিঠি জমা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। চলতি মাস শেষে সেপ্টেম্বরে এ সেবা চালুর আভাস মিলেছে। এ প্রসঙ্গে বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, উবার, পাঠাওসহ প্রতিষ্ঠানগুলো দাবি জানিয়েছে। যেহেতু এখনো স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে শর্ত রয়েছে। তাই আপাতত অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, উবার, পাঠাও, সহজ এ রকম অ্যাপভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনের জন্য কয়েক দফা চিঠি দিয়েছে। সর্বশেষ গতকাল বিআরটিএর চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে দাবির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছে তারা। করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে যানবাহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার।
স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে মোটরসাইকেলের মাধ্যমে এ সেবা নিষেধ থাকলেও বাস্তবে চলছে। অ্যাপ নয় চুক্তিভিত্তিক যাত্রী পরিবহন করছে মোটরসাইকেলে। করোনায় সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দিলে থেমে যায় রাইডশেযারিং সেবাও। ৬৭ দিন পর গণপরিবহন চালু হলেও রাইডশেয়ারিংয়ের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকে। করোনার বিস্তার রোধে গত ২৫ মার্চ থেকে ৬৮ দিন বন্ধ রাখা হয় গণপরিবহন। ‘লকডাউন’ শেষে ১ জুন থেকে শর্তসাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার। অর্ধেক আসন খালি ছাড়াও বাসে উঠানোর আগে যাত্রীর হাত ধোয়া, প্রতি যাত্রার আগে বাস জীবাণুমক্ত করা, চালক শ্রমিক ও যাত্রীকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার শর্ত দেওয়া হয়। নানা মহলের সমালোচনার পরও করোনা মন্দার মধ্যেই ভাড়া বাড়ে ৬০ ভাগ।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছে রাইডশেয়ারিং সেবাদানকারী হিসেবে মোট ১৩টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছিল। এরই মধ্যে প্রথমে ৬টি প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত হয়। পিকমি লি, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেড, ওভাই সলিউশনস লিমিটেড, চালডাল লিমিটেড, সেজেস্টা লি. ও আকাশ টেকনোলজিস লিমিটেড। এর পর পাঠাও লিমিটেড, উবার বাংলাদেশ লিমিটেড এবং সহজ লিমিটেড এনলিস্টেড হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো ১০০ গাড়ির এনলিস্টমেন্ট দেখিয়ে অনুমোদন নিয়েছে। অথচ গত বছরের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিআরটিএর কাছে দেওয়া তালিকা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাপসে চলা গাড়ির সংখ্যা অনেক বেশি।