আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে আন্তঃনগর, কমিউটার ও লোকালসহ আরো ১৯ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক ট্রান্সপোর্টেশন) স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। বলা হয়, ৯ আগস্ট রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের দফতরে রেলপথ সচিব মো: সেলিম রেজাসহ অন্যান্য কর্মকর্তার সাথে বৈঠকের সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে।
এসব ট্রেনের মধ্যে রয়েছেÑ চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের মহানগর গোধূলি/প্রভাতী, ঢাকা-সিলেট-ঢাকা জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটে উপবন এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ঢাকা চট্টগ্রাম রুটে তূর্ণা এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, ঢাকা-জামালপুর-ঢাকা রুটে জামালপুর এক্সপ্রেস, ঢাকা-বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম-ঢাকা রুটে দ্রুতযান এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে ধূমকেতু এক্সপ্রেস, ঢাকা-রংপুর-ঢাকা রুটে রংপুর এক্সপ্রেস, সিরাজগঞ্জ বাজার-ঢাকা-সিরাজগঞ্জ বাজার রুটে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস, খুলনা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে মহানন্দা এক্সপ্রেস, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রহনপুর লোকাল রুটে রহনপুর-খুলনা মহানন্দা এক্সপ্রেস, সান্তাহার-লালমনিরহাট-সান্তাহার রুটে পদ্মরাগ কমিউটার, খুলনা- গোয়ালন্দঘাট-খুলনা রুটে নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে সাগরিকা কমিউটার, রাজশাহী-পার্বতীপুর-রাজশাহী রুটে উত্তরা এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা রুটে মহুয়া এক্সপ্রেস এবং খুলনা-বেনাপোল-খুলনা রুটে বেতনা। অফিস আদেশের শর্তের একটিতে বলা হয়েছে, আন্তঃনগর ট্রেনে সব ধরনের স্ট্যান্ডিং টিকিট ইস্যু সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২৪ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গত ৩১ মে প্রথম দফায় ৮ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় আরো ১১ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়।
গত ১৬ আগস্ট নতুন করে আরো ১২ জোড়া আন্তঃনগর ও এক জোড়া কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ২৭ আগস্ট থেকে আরো ১৮ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এরপরই আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে চলাচল শুরু হবে আরো ১৯ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন।