আরও দুই ব্যাংককে এজেন্ট ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য লাইসেন্স দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ নিয়ে দেশে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়াল ২৮টিতে। নতুন লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যাংকগুলো হলো- প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড এবং এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক।
দেশের সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক এলাকায় ব্যাংকিং সুবিধা পৌঁছে দিতে চালু হয় এজেন্ট ব্যাংকিং। সহজেই ব্যাংকে টাকা জমা ও উত্তোলন, রেমিট্যান্স পাঠানোসহ বিভিন্ন ব্যাংকিংসেবা পাওয়া গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে জনপ্রিয় এক নাম এজেন্ট ব্যাংকিং।
২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর এজেন্ট ব্যাংকিং নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমানে ২৩টি বাণিজ্যিক ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মধ্যে আট হাজার ৭৬৪টি মাস্টার এজেন্টের আওতায় ১২ হাজার ৪৪৯টি আউটলেটের মাধ্যমে এ সেবা দিচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের জুন শেষে দেশে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতায় ৭৩ লাখ ৫৮ হাজার ১৯০ জন গ্রাহক হিসাব খুলেছেন। এসব হিসাবে জমাকৃত অর্থের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২২০ কোটি টাকা। গত বছরের জুন (২০১৯) পর্যন্ত গ্রাহক ছিল ৩৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৭২ জন এবং আমানত স্থিতি ছিল পাঁচ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে গ্রাহক বেড়েছে ৪৯ লাখ ৪১ হাজার ৫১৮ এবং আমানত স্থিতি বেড়েছে ৪ হাজার ৯৩৬ কোটি টাকা।
বর্তমানে যে ২৩টি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে সেগুলো হলো- ব্যাংক এশিয়া, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, দ্য সিটি ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক।