প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কিছুটা কমেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় অর্ধ লক্ষাধিক রোগী সুস্থতার দিনে আবারও বেড়েছে সংক্রমণ হার। একই অবস্থা প্রাণহানিতেও। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৯৯ হাজার মানুষ ভাইরাসটিতে ভুগে পৃথিবী ছেড়েছেন।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের নিয়মিত পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৮ হাজার ৭২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৬৭ লাখ ৪৯ হাজার ২৮৯ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৮০ জন। এ নিয়ে প্রাণহানি বেড়ে ১ লাখ ৯৯ হাজারে ঠেকেছে।
অন্যদিকে গত একদিনে সুস্থতা লাভ করেছেন প্রায় ৫৩ হাজার রোগী। এতে করে মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৪০ লাখ ২৭ হাজার ৮২৬ জনে পৌঁছেছে।
চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি শিকাগোর এক বাসিন্দার মধ্যে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এর পর থেকে ক্রমান্বয়ে ভয়ানক হতে থাকে পরিস্থিতি।
সবচেয়ে নাজুক অবস্থা ক্যালিফোর্নিয়ায়। প্রাণহানি তুলনামূলক কম হলেও এ শহরে করোনার শিকার ৭ লাখ প্রায় ৬৬ হাজার মানুষ। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৪৬২ জনের। সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হার দীর্ঘ হচ্ছে টেক্সাসে। এ শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৯৮ হাজার ছুঁই ছুঁই। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ১৪ হাজার ৫৮২ জনের।
ফ্লোরিডায় করোনার শিকার ৬ লাখ ৬৬ হাজার মানুষ। ইতোমধ্যে সেখানে ১২ হাজার ৬৪৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। প্রাণহানিতে শীর্ষ শহর নিউইয়র্কে আক্রান্ত ৪ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি। এর মধ্যে না ফেরার দেশে ৩৩ হাজার ১২৮ জন ভুক্তভোগী।
জর্জিজায় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৯৫ হাজার ৩৩৭ জন। এর মধ্যে প্রাণ ঝরেছে ৬ হাজার ৩৫৩ জনের। ইলিনয়েসে এখন পর্যন্ত করোনার ভুক্তভোগী ২ লাখ প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৮ হাজার ৫৪৬ জন।
অ্যারিজোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৮ হাজার ৭২৫ জন। যেখানে প্রাণ গেছে ৫ হাজার ৩২২ জনের। নিউ জার্সিতে করোনার শিকার ২ লাখ ৫২২ জন। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ১৬ হাজার ১৫৮ জনের।
এ ছাড়া ম্যাসাসুয়েটসস, পেনসিলভেনিয়া, উত্তর ক্যারোলিনা, লুসিয়ানা, টেনেসি ও অ্যালাবামার মতো শহরগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে।