করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। এ জন্য শ্রমবাজারের প্রক্রিয়া-পদ্ধতি নিয়ে বাংলাদেশের কাছে প্রস্তাবও দিয়েছে মালয়েশিয়া। এই শ্রমবাজার চালু হলে মাত্র ছয় মাসেই চার লাখ শ্রমিক পাঠানো সম্ভব হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মালয়েশিয়ার আগ্রহের পরও বাংলাদেশের বিভিন্ন মহলের নানান স্বার্থসংশ্লিষ্টতার কারণে বার বার পিছিয়ে যাচ্ছে শ্রমবাজার চালুর সিদ্ধান্ত।
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণে স্থবির হয়ে পড়া অর্থনীতি সচল করতেই মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে কর্মী নেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তারা একটি প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা সেটা নিয়ে স্টাডি করছি। আশাকরি জানুয়ারিতেই একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারব। এ ছাড়া শিগগির বসবে দ্বিপক্ষীয় ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক। চলতি মাসেই আসতে পারে সুখবর। কর্মী পাঠানোর সুযোগ মিললে শ্রমিক স্বার্থকে বড় করে দেখার কথা জোর দিয়ে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী।
পরিসংখ্যান বলছে, গত এক বছরে তছনছ হয়ে গেছে বাংলাদেশের শ্রমবাজার। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশে মোট কর্মী গেছেন ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৬৯ জন। যা তার আগের বছর ২০১৯ সালের তুলনায় ৫ লাখ কম। এ বছর টার্গেট ৭ লাখ থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি একেবারেই। বিশ্বে লকডাউনের কারণে এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে কোনো অভিবাসন হয়নি অর্থাৎ বিদেশে কোনো কর্মী যেতে পারেননি।
তবে এ বছর কর্মী গমনের চেয়ে প্রত্যাবর্তন অর্থাৎ ফিরে আসার দিকে। ফেরত এসেছেন সোয়া তিন লাখের উপরে। বিপুল সংখ্যক এই কর্মী এখন দেশে বেকার জীবনযাপন করছেন। কবে শ্রমবাজার স্বাভাবিক হবে বা আদৌ হবে কিনা তা নিয়েই দুশ্চিন্তা তাদের। প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ৩ লাখ ২৬ হাজার ৭৫৮ জন অভিবাসী কর্মী দেশে ফেরত এসেছেন।