ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেশে ফেরা আরও তিন বাংলাদেশির করোনা শনাক্ত হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁদের করোনার নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন আসে। দেশে ফেরা এই তিনজনই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। এর মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। গত মঙ্গলবার করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।
এ নিয়ে আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে আসা ভারতফেরত ২৫ জন বাংলাদেশি করোনা পজিটিভ হলেন। তাঁদের মধ্যে দুজনের ফলোআপ নমুনা পরীক্ষার ফলাফল ইতিমধ্যে নেগেটিভ এসেছে। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে জেলার বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকা ভারতফেরত ১৩ জন বাংলাদেশি করোনা পজিটিভ হন। তাঁদের সেখানেই আইসোলেশনে রাখা হয়।
আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ এপ্রিল থেকে ২৫ মে পর্যন্ত আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ১ হাজার ১১২ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের নাগরিক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১০টি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ২২৩ জন। এখন পর্যন্ত ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন পূর্ণ করেছেন, এমন ৫৫৬ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনগুলোর মধ্যে আখাউড়া রজনীগন্ধা হোটেলে রয়েছেন ২১ জন, নাইন স্টার হোটেলে ২২, অবকাশ হোটেলে ২৮, হোটেল তাজে ৩০, হোটেল গ্র্যান্ড মালেকে ১৭, আশিক প্লাজা হোটেলে ৭, হোটেল তিতাস ভিউতে ১১, হোটেল নিউ ইন্টারন্যাশনালে ২, বেসরকারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬৪ ও বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ২১ জন।
সম্প্রতি ভারত থেকে এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোয়ারেন্টিনে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের করোনার পরীক্ষার জন্য নেওয়া নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়। শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৮৪টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল এসে পৌঁছেছে। তাঁদের মধ্যে ৮ জনের করোনার পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ এসেছে। এর মধ্যে ৩ জন বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকা স্থলবন্দর দিয়ে আসা বাংলাদেশি। এই ৩ জনকে বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ারেন্টি থেকে আইসোলেশনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, ‘ভারত থেকে আসার পর আখাউড়া স্থলবন্দরেই নাগরিকদের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেখানে কেউ বাদ পড়লে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ভারত থেকে এসে করোনা পজিটিভ হওয়া নাগরিকদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য ঢাকার আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কোনা ফলাফল আমরা পাইনি।’