ঈদের ছুটির পর ২৩শে জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ই আগস্ট পর্যন্ত দেশব্যাপী সর্বাত্মক লকডাউনে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত, চামড়া শিল্প ও ঔষধ শিল্প সংশ্লিষ্ট ছাড়া সকল শিল্প কারখানা বন্ধ থাকবে।
সোমবার (১৯ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ মিল কারখানা বিধি-নিষেধের আওতা বহির্ভূত থাকবে। এছাড়া কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং ঔষধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্প কারখানা বিধি-নিষেধের বাইরে থাকবে। তবে ওই প্রজ্ঞাপনে গার্মেন্টস ও শিল্প কারখানা খোলার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়নি। ফলে গত মঙ্গলবার জারি করা প্রজ্ঞাপন মোতাবেক ২৩ জুলাই থেকে ৫ই আগস্ট বিধি-নিষেধ চলাকালীন গার্মেন্টস ও শিল্প কারখানা বন্ধই থাকছে।
গত ১লা জুলাই থেকে শুরু হওয়া সর্বাত্মক লকডাউনে গার্মেন্ট ও শিল্পকারখানা খোলা থাকলেও ঈদের পরবর্তী সময়ে গার্মেন্টস ও শিল্পকারখানা বন্ধ থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়। সরকারের এমন ঘোষণার পর শিল্পকারখানা বন্ধ রাখলে অর্থনীতিতে ভয়াবহ ক্ষতির আশঙ্কা করে উদ্যোক্তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি দেন। চিঠিতে উদ্যোক্তারা ঈদের পর ঘোষিত বিধিনিষেধের মধ্যে শিল্পকারখানা খোলা রাখার জোর দাবি জানান।
এর মধ্যেই শনিবার গার্মেন্ট ও শিল্পকারখানা বন্ধের বিষয়ে সরকারের আগের সিদ্ধান্তই বহাল রাখার কথা জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।