মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

অনলাইনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সাময়িক বন্ধ

প্রকাশঃ

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদন সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১ আগস্ট) ওয়েবসাইটে একটি নোটিশ জারি করেছে রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়।

নোটিশ থেকে জানা যায়, নিবন্ধনের সার্ভার মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের কারণে সর্বসাধারণের প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। সার্ভার সুরক্ষিত না হওয়া পর্যন্ত অনলাইনে ব্যক্তির নিজে আবেদন করা সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। তবে কেবলমাত্র অথরাইজড ইউজার প্রবেশ করতে পারবে।

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের সকল সেবার ক্ষেত্রে সকল সেবাপ্রার্থীকে ও আবেদনকারীকে তার নিকটস্থ নিবন্ধক কার্যালয়ে যোগাযোগের মাধ্যমে নিবন্ধনের আবেদন দাখিলের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সাময়িক এ অসুবিধার আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. রাশেদুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, সার্ভার সুরক্ষিত করার কাজ চলছে। সার্ভার সুরক্ষিত না হওয়া পর্যন্ত অনলাইনে ব্যক্তির নিজে আবেদন করা সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। আসলে এ সমস্যাটা সাময়িক।

নিবন্ধক কার্যালয় এতসংখ্যক আবেদন নিজেরা পূরণ করতে গিয়ে চাপে পড়বে কিনা, জানতে চাইলে রাশেদুল হাসান বলেন, কিছুটা চাপ তৈরি হবে। আপাতত কিছু করার নেই। সার্ভার সুরক্ষার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

দেশের বিভিন্ন স্থানে সার্ভার কাজ করছে না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যেসব জায়গায় সমস্যার কথা শোনা যাচ্ছে, সেসব জায়গায় তা ঠিক করা হচ্ছে।

জানা যায়, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের সেবা নেওয়া লাখ লাখ মানুষের তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে অনলাইনে নিজে আবেদন করার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সার্ভার সুরক্ষিত না হওয়া পর্যন্ত এই সুযোগ বন্ধ থাকবে।

প্রসঙ্গত, গত ৭ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশে একটি সরকারি সংস্থার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের তথ্য ফাঁস হয়েছে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে তখন তারা ওয়েবসাইটটির নাম প্রকাশ করেনি। সংস্থাটি জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন কার্যালয় বলে জানায় অপর এক প্রতিবেদনে।

তথ্য ফাঁসের এ ঘটনায় ১০ জুলাই ডিজিটাল নিরাপত্তা সংস্থার মহাপরিচালককে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, কারিগরি ত্রুটি ও দক্ষ লোকের অভাবে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয় থেকে তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। কারিগরি ত্রুটির কারণেই তথ্য উন্মুক্ত অবস্থায় ছিল। সংস্থাটি সংবেদনশীল তথ্য নিয়ে কাজ করলেও তাদের দক্ষ লোকবল ছিল না। একজন প্রোগ্রামার ও প্রয়োজনে আউটসোর্সিংয়ের ভিত্তিতে লোক এনে কাজ করানো হতো।

শেয়ার করুনঃ

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ