চলতি বছরের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক বেড়েছে প্রায় ৫ লাখ । আর এ সময়ে আমানত বেড়েছে দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতায় ৩৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৭২ গ্রাহক হিসাব খুলেছেন। এসব হিসাবে জমা করা অর্থের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৮৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ হিসাবপ্রতি আমানতের পরিমাণ গড়ে ১৫ হাজার ৪৬৭ টাকা। গত মার্চ পর্যন্ত গ্রাহক ছিলেন ২৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৫ জন এবং আমানত স্থিতি ছিল ৩ হাজার ৭৩৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অর্থাৎ তিন মাসে গ্রাহক বেড়েছে ৫ লাখ ১০ হাজার ৭১ জন এবং আমানতের স্থিতি বেড়েছে প্রায় এক হাজার ৫৫০ কোটি টাকা।
এদিকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো প্রচলিত শাখা খোলার চেয়ে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের দিকে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। ফলে এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে ১৯টি ব্যাংক ৬ হাজার ১৩টি মাস্টার এজেন্টের আওতায় ৮ হাজার ৬৭১টি আউটলেটের মাধ্যমে এ সেবা দিচ্ছে।
দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকিং সুবিধা পৌঁছে দিতে এজেন্ট ব্যাংকিং চালুর অনুমতি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মাধ্যমে জনগণকে ব্যয় সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিংসেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।’
প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে ব্যাংক এশিয়া প্রথম কার্যক্রম শুরু করলেও বর্তমানে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে শীর্ষে রয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। এজেন্ট ব্যাংকিংসেবার গ্রাহকদের সংখ্যা এবং তাদের হিসাবে মোট জমা হওয়া অর্থের মধ্যে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের গ্রাহকদের স্থিতি সবচেয়ে বেশি।
ব্যাংকটির এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক এখন ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ২৬৬ জন এবং এসব হিসাবে জমার স্থিতি এক হাজার ১৫১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এর পরের অবস্থানে আছে ব্যাংক এশিয়া। ব্যাংকটির গ্রাহকের সংখ্যা ও আমানতের স্থিতি যথাক্রমে ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৪৮৮ জন এবং ৯৮২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। তবে গ্রাহক ও আমানতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও এজেন্ট বুথ খোলায় শীর্ষে রয়েছে ব্যাংক এশিয়াই। জুন শেষে ব্যাংকটির মোট এজেন্ট বুথের সংখ্যা ২ হাজার ৯৬০টি।