করোনাভাইরাস সংক্রমণ নির্ণয়ের জন্য সারাদেশের ৭৮টি হাসপাতাল, ল্যাবরেটরি ও গবেষণাগারকে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শনিবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে অ্যান্টিজেন টেস্ট । এসব প্রতিষ্ঠান নমুনা পরীক্ষার ফি বাবদ ৭০০ টাকা করে আদায় করতে পারবে।
বাড়িতে গিয়ে নমুনা পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত ৫০০ টাকা করে দিতে হবে। তবে একটি বাড়িতে গিয়ে একাধিক ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করালেও অতিরিক্ত চার্জ ৫০০ টাকার বেশি হবে না। রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন মিঞার অনুমোদন পাওয়া হাসপাতালগুলোকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।
ডা. ফরিদ মিয়া বলেন, “এসব প্রতিষ্ঠান অ্যান্টিজেন টেস্টের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিল। আমরা যেসব শর্ত দিয়েছিলাম তারা সেগুলো পূরণ করেছে। এ কারণে আমরা অনুমোদন দিয়েছি।” অ্যান্টিজেন টেস্টে নাক কিংবা মুখবিহ্বরের শ্লেষ্মা ব্যবহার করা হয়, আরএনএ বিশ্লেষণের পরিবর্তে এখানে ভাইরাসের প্রোটিন শনাক্ত করা হয়। আবার রক্ত পরীক্ষা করেও অ্যান্টিজেনের উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়।
গত বছর দেশে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর শুধু আরটি-পিসিআর পরীক্ষাই চলত। গত বছরের ৫ ডিসেম্বর অ্যান্টিজেন পরীক্ষা চালু করে সরকার। সরকার এই পরীক্ষাটি বিনামূল্যে করে দিচ্ছে।
গত ১১ মার্চ স্থানীয় সরকার ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতে অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি টেস্টের নীতিমালা অনুমোদন করে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
১ জুন বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতে কোভিড-১৯ রোগ নির্ণয়ে অ্যান্টিজেন টেস্ট কিটের নামসহ মূল্য নির্ধারণের জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে প্রস্তাব পাঠায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমুহ) ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিঞার স্বাক্ষরে পাঠানো ওই প্রস্তাবে বলা হয়, কোভিড মহামারীর সময় আরটিপিসিআরের পাশাপাশি অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু করা খুবই জরুরি। সরকারিভাবে ১০০ টাকায় অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। কিন্তু বেসরকারি খাতে এই টেস্ট চালু করা খুবই জরুরি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন আছে বায়োসেন্সর এবং প্যানবায়ো নামে দুটি কিটের। এসব কিটের আনুমানিক মূল্য ৫০০ টাকা। এই মূল্যের সঙ্গে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতের অন্যান্য খরচসহ পরীক্ষাটির সর্বোচ্চ মূল্য ৭০০ টাকা করা নির্ধারণ করা যেতে পারে।