আজ শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে এক কোটি মানুষকে করোনার টিকা প্রদানের কাজ শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রে গুলোতে আজ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে করোনার প্রথম ডোজ টিকা প্রদান শুরু হয়েছে। তবে এদিন টিকা প্রদান শুরুর আগেই মানুষের দীর্ঘ লাইন দেখা যাচ্ছে টিকা কেন্দ্রগুলোতে।
আজ টিকা নিতে কোনো প্রকার নিবন্ধন করতে হবে না। এমনকি যারা নিবন্ধন করেও টিকা পাননি, তারও ক্যাম্পাইনের মধ্যমে টিকা নিতে পারবেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক বলেন, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল ৯টার দিকে টিকাদানের কার্যক্রম চলমান থাকবে। সাধারণত টিকাদান ৩টা পর্যন্ত চললেও এই কর্মসূচি লক্ষ্যপূরণ না হওয়া পর্যন্ত চলবে।
তিনি বলেন, জন্মনিবন্ধন বা কোনো ধরনের কাগজপত্র লাগবে না টিকা নিতে। সেখানে মোবাইল নম্বর দিয়েই টিকা নেয়া যাবে। মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে তাদের তথ্য নথিভুক্ত করে টিকা দেয়া হবে। তাদের একটি করে কার্ড দেয়া হবে। সেটিই হবে তার টিকা নেয়ার প্রমাণ। অবশ্য যাদের আছে তারা প্রয়োজনে নিবন্ধন করে আসতে পারেন। পাশাপাশি নিয়মিত টিকা কেন্দ্রগুলোতে কার্যক্রম চলবে। পর্যাপ্ত টিকার মজুত আছে।
শামসুল হক বলেন, শেষদিকে এসে করোনা টিকাদান কেন্দ্রগুলোয় ভিড় বেড়েছে আগ্রহীদের। সংক্রমণ সম্পর্কে সচেতনও হচ্ছেন তারা। আজ টিকাকেন্দ্রের চাপ কমাতে শুক্রবার ছুটির দিন খোলা হয় টিকাদান কেন্দ্রগুলো।
টিকাদানের সঙ্গে জড়িত স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন, মূলত এই ঘোষণার পর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে টিকাকেন্দ্রে ভিড় বাড়তে থাকে।
স্বাস্থ্য বিভাগের ঘোষণা মতে, টিকা নেয়ার খুদে বার্তা এবং নিবন্ধন ছাড়াই মানুষ এখন টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এ জন্য কেন্দ্রে কেন্দ্রে লাইন দিচ্ছেন টিকাপ্রত্যাশীরা।
শ্রমিক ও দিনমজুর শ্রেণির মানুষ বেশি দেখা যাচ্ছে টিকাকেন্দ্রে। এই শ্রেণির মানুষের মধ্যে একটা সংশয় তৈরি হয়েছে যে ২৬ ফেব্রুয়ারির পর তারা করোনার টিকা নিতে পারবেন না।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এক কোটি ডোজ টিকা দেয়ার পরও টিকাদান কার্যক্রম চলবে। এমনকি প্রয়োজন হলে প্রথম ডোজ টিকাও নেয়া যাবে। তবে সে ক্ষেত্রে কিছুটা দেরি হতে পারে। দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজ নিয়ে কিছুটা ব্যস্ত থাকবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, শুক্রবার পর্যন্ত সারাদেশে ১০ কোটি ৯৫ লাখ ৮১ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৮ কোটি ১৯ লাখ এবং বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ৩৫ লাখ ৫৯ হাজারের বেশি মানুষ।