শুক্রবার, ১৫ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

আজ এলপি গ্যাসের মূল্য পুনর্নির্ধারণের ঘোষণা করা হবে

প্রকাশঃ

আজ সোমবার (১২ এপ্রিল) ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজি গ্যাসের মূল্যহার নির্ধারণ বা পুনর্নির্ধারণ সম্পর্কে  আদেশ দেবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বেলা সাড়ে ১১টায় কমিশন ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেবে।

একই সঙ্গে ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজিরর মূল্যহার নির্ধারণ বা পুনর্নির্ধারণ সম্পর্কে কমিশনের আদেশ www.berc.org.bd সাইটে আপলোড করা হবে। রবিবার (১১ এপ্রিল) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিইআরসি।

প্রসঙ্গত, বিইআরসির আইন অনুযায়ী গণশুনানির পর ৯০ দিনের মধ্যে দামের আদেশ দেওয়ার নিয়ম। গত ১৪ জানুয়ারি এলপি গ্যাসের দাম নির্ধারণের জন্য বিক্রয়কারী কোম্পানিগুলোর দাম নিয়ে গণশুনানি করে বিইআরসি। বিইআরসির আইন অনুযায়ী শুনানির ৯০ দিনের মধ্যে আদেশ দেওয়ার নিয়ম। সেই হিসেবে ১৪ এপ্রিল শেষ হচ্ছে সময়। কমিশন জানায় তার আগেই দামের ঘোষণা দিতে চায়। তবে এই দাম সব সময় একই থাকবে না। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতিমাসেই পরিবর্তনের চিন্তা করা হচ্ছে।

বিইআরসি জানায়, সাধারণত সৌদি সিপি (কনট্রাক্ট প্রাইস) অনুযায়ী দেশে এলপিজির দাম নির্ধারিত হয়। এবারও তাই হবে। তবে তা নিয়ন্ত্রণ করবে বিইআরসি। এখন দেশে সৌদি আরবের এলপিজি বাজার দরের সঙ্গে এলসি মার্জিন, আমদানিতে জাহাজ ভাড়া, দেশের অভ্যন্তরে কয়েক ধাপের পরিবহন ব্যয়, ডিলারের লভ্যাংশ, উদ্যোক্তার মুনাফা ধরে দাম ধরা হয়। কমিশনের নতুন ফরমুলাতে সৌদি সিপি এবং ভ্যাট ছাড়া প্রতিমাসের দাম নির্ধারণে সব নির্দিষ্ট রাখা হবে।

এর আগে অবশ্য গণশুনানিতে সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রতি কেজি এলপিজির দাম ৭২ টাকা করে একটি অভিন্ন দাম নির্ধারণের সুপারিশ করেছিল কমিশনের গঠিত মূল্যায়ন কমিটি। এ হিসাবে সরকারি কোম্পানির সাড়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম পড়তো ৯০২ টাকা এবং বেসরকারি কোম্পানিগুলোর পড়তো ৮৬৬ টাকা। কমিশনের কাছে সরকারি কোম্পানি ৬০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করার প্রস্তাব করেছিল। তবে মূল্যায়ন কমিটি তাদের সিলিন্ডারের দাম আরও ২০০ টাকা বাড়িয়ে ৯০২ টাকা এবং বেসরকারি কোম্পানিগুলোর ১ হাজার ২৬৯ থেকে কমিয়ে ৮৬৬ টাকা করার সুপারিশ করে।

সরকারি এলপিজি দেশের মোট এলপিজি সরবরাহ এক শতাংশের নিচে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) এল পি গ্যাস লিমিটেড বছরে মাত্র ১৫ হাজার ৫০০ টন এলপিজি উৎপাদন করে। চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইরারি প্ল্যান্টের বার্ষিক ১০ হাজার টন এবং কৈলাশটিলার প্ল্যান্টের মাধ্যমে বছরে আরও সাড়ে পাঁচ হাজার টন এলপিজি উৎপাদন করে বাজারজাত করে।

শেয়ার করুনঃ

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ